ঘরে ফিরলো বিশ্বকাপজয়ী রিচা ঘোষ, শহর জুড়ে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে শিলিগুড়ি
শিলিগুড়ি :
আজ নিজের শহরে ফিরছেন মহিলা বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম বাংলার গর্ব রিচা ঘোষ। বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন তিনি। এরপর সরাসরি রওনা দেন সুভাষপল্লীর বাড়ির পথে। শহরজুড়ে তখন একটাই উন্মাদনা “রিচা আসছে ঘরে!”
রিচার প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে সাজছে গোটা শিলিগুড়ি। বাঘাযতীন পার্কে তাঁর নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করেছে স্থানীয় প্রশাসন ও ক্রীড়া সংস্থা। শহরের বিভিন্ন ক্লাব, স্কুল ও মহিলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনও নিজেদের মতো করে রিচাকে অভিনন্দন জানাতে প্রস্তুত।
সুভাষপল্লীর তাঁর বাড়ি রঙিন আলো ও ব্যানারে সেজে উঠেছে। প্রতিবেশীদের মুখে মুখে উচ্ছ্বাস— “আমাদের পাড়ার মেয়ে আজ সারা দেশের গর্ব!” শিশুরা হাতে ছোট পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে, যেন এক বীরের স্বাগত জানাবে তারা।
আজ শিলিগুড়ির আকাশে তাই শুধু আলোর ঝলক নয়, গর্ব আর ভালোবাসার মিশ্র এক আবেগ— যেটা রিচা ঘোষের মতো এক তরুণীর সাফল্যের গল্পকেও আরও মানবিক করে তোলে।
বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলো প্রচুর মানুষ। রিচাকে স্বাগত জানাতে পৌঁছে যান শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। রয়েছে রাজকীয় ব্যবস্থা। তার বাড়ি ঘিরে রয়েছে কড়া নিরাপত্তা, পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এসে যাবতীয় বিষয়বস্তু ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছে, যাতে কোনরকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেদিকে নজর দেয় প্রশাসন।
রিচা এদিন বলেন, ‘‘স্বপ্ন ছিল ভারতের হয়ে খেলার। ট্রফি জেতার স্বপ্ন নিয়ে খেলেছি। আমার সাফল্যে আমার মা-বাবার অবদান সবচেয়ে বেশি। এর আগেও আমরা ভাল খেলেছি। কিন্তু একাধিক বার বিশ্বকাপ হাতছাড়া হয়েছে। কিন্তু এ বার আমরা জিতলাম। ঝুলন গোস্বামীরাই আমাদের অনুপ্রেরণা।’’
গত রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন রিচারা। বিশ্বকাপে সব চেয়ে বেশি ছক্কা এসেছে রিচার ব্যাটে। মোট ১২টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। তাঁর ধারেকাছেও নেই কোনও ভারতীয় ক্রিকেটার। সেমিফাইনাল ও ফাইনালে দ্রুত রান করে দলকে ভাল জাগায় পৌঁছেও দিয়েছিলেন রিচা।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊