শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠে মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের জন্মতিথি পালিত হল মহাসমারোহে
গতকাল যোগ - ভক্তি মার্গের প্রতিষ্ঠাতা, ত্রিকালজ্ঞ মহাযোগী ভাদুড়ী মহাশয় (Bhaduri Mahasaya) অর্থাৎ পরমহংস মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের ১৭৯তম জন্মতিথি মহাসমারোহে পালিত হলো কলকাতার শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠ এবং নগেন্দ্র মিশনে। এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য সকাল থেকেই কলকাতার শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠে নামে ভক্তদের ঢল।
ভোরে মূল মন্দিরে ছিল মঙ্গলারতি এবং গীতা পাঠ। এদিন গীতা পাঠে অংশগ্রহণ করেন দেবাশিস বোস। পরে ছিল মহর্ষিদেবের উদ্দেশে নিবেদিত বিশেষ পুজো, অঞ্জলি এবং যজ্ঞানুষ্ঠান। এই ধর্মীয় পর্বটি সম্পাদনা করেন রাজা মুখোপাধ্যায়। মধ্যাহ্নে ছিল প্রসাদ বিতরণ। এদিন প্রসাদ গ্রহণ করার জন্য দূরদূরান্ত থেকে আসেন ভক্ত এবং শ্রদ্ধালুরা।
সন্ধ্যায় শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠে মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের সাধন কক্ষে আয়োজিত হয় ধ্যান পর্ব। এই ধ্যান পর্বের পরিচালনায় ছিলেন যোগদা সৎসঙ্গ সোসাইটি অফ ইণ্ডিয়া, দক্ষিণেশ্বরের ব্রহ্মচারী সহজানন্দ। পরে মঠের আবাসিক ছাত্র শেখর মণ্ডলের বৈদিক মন্ত্র পাঠ এবং শিবশঙ্কর মণ্ডলের ধ্যান-মন্ত্র পাঠের পর ছিল মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের রচিত পরমার্থ সঙ্গীতের উপস্থাপনা।
এদিন শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠের পক্ষ থেকে মহর্ষিদেবের উদ্দেশে নিবেদিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যোগদা সৎসঙ্গ সোসাইটি অফ ইণ্ডিয়া, দক্ষিণেশ্বরের স্বামী অচ্যুতানন্দ এবং প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শৈলেন চক্রবর্তী। স্বরচিত কবিতা পাঠের মধ্যে দিয়ে মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শিবানী ভট্টাচার্য বন্দ্যোপাধ্যায়। সভাপতির বক্তব্য রাখেন রাধাশ্যাম দত্ত। সমগ্র অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় করেন ড. শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই সম্পূর্ণ আয়োজনের সামগ্রিক পরিকল্পনায় ছিলেন নগেন্দ্র মিশনের সভাপতি গৌরহরি শাসমল এবং নগেন্দ্র মিশনের কোষাধ্যক্ষ সঞ্জয় ভট্টাচার্য।
এ প্রসঙ্গে শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠের সম্পাদক ড. রবীন্দ্রনাথ কর জানান, পরমহংস মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের পবিত্র জন্মতিথি পালনের যে রীতি রয়েছে সেই রীতি অনুসরণ করে এ বছরও মহাসমারোহে মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের পবিত্র জন্মতিথি পালিত হয়েছে। মহর্ষিদেবের আদর্শ ছড়িয়ে দিতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊