আফগানিস্তানে মধ্যরাতের ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা, কমলা সতর্কতা জারি
আবারও শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তালেবান-শাসিত আফগানিস্তান। স্থানীয় সময় সোমবার রাত ১টা (ভারতীয় সময় ভোর ২টা), দেশটির উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত জনবহুল শহর মাজার-ই-শরিফ-এর কাছে ৬.৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা USGS জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ২৮ কিলোমিটার, এবং এটি খুলম শহরের পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত ছিল।
আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের প্রভাব দেশের একাধিক প্রদেশে অনুভূত হয়েছে। তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
USGS তাদের PAGER সিস্টেমে কমলা সতর্কতা জারি করেছে, যার অর্থ ১০০ থেকে ১,০০০ জনের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, “এই দুর্যোগে বড় সংখ্যক হতাহতের সম্ভাবনা রয়েছে এবং এটি ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে। পূর্ববর্তী এমন সতর্কতার ঘটনাগুলিতে আঞ্চলিক বা জাতীয় পর্যায়ে জরুরি প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন হয়েছে”।
বর্তমানে উদ্ধারকাজ চলছে, এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবন, ধুলোয় ঢাকা রাস্তাঘাট এবং আতঙ্কিত মানুষের ছবি দেখা যাচ্ছে। সঠিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি, তবে প্রাথমিকভাবে অন্তত ৭ জনের মৃত্যু এবং ১৫০ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এই ভূমিকম্পটি আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটেছে এমন একাধিক বড় ভূমিকম্পের মধ্যে অন্যতম।
- অক্টোবর ২০২৩-এ পশ্চিম আফগানিস্তানে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে ২,০০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়।
- আগস্ট ২০২৫-এ পূর্বাঞ্চলে ৬.০ মাত্রার ভূমিকম্পে ৮০০ জন নিহত এবং ২,৮০০ জন আহত হয়েছিল।
এই ধরণের পুনরাবৃত্ত ভূমিকম্প আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলের ভূ-প্রাকৃতিক দুর্বলতা এবং নাজুক অবকাঠামো-র কারণে আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি এবং প্রতিবেশী দেশগুলি উদ্ধার ও ত্রাণ সহায়তার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
.webp)
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊