Earthquake: মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ফের ৬.৬ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প
জার্মানির ভূতাত্ত্বিক গবেষণা সংস্থা জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (GFZ) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল বান্দা সাগরের তলদেশে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৩৭ কিলোমিটার (৮৫ মাইল) গভীরে। গভীরতা বেশি হওয়ায় স্থলভাগে কম্পনের তীব্রতা তুলনামূলকভাবে কম অনুভূত হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল। এর প্রধান কারণ, দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরের “রিং অফ ফায়ার”-এর পাশে অবস্থিত। এই অঞ্চলটি পৃথিবীর সবচেয়ে সক্রিয় টেকটোনিক প্লেট মিথস্ক্রিয়ার কেন্দ্রস্থল। বিশেষ করে বান্দা সাগর ঘিরে রয়েছে একাধিক টেকটোনিক প্লেট—অস্ট্রেলিয়ান প্লেট, সুন্দা প্লেট, তিমুর প্লেট, মোলুক্কা সাগর প্লেট এবং বার্ডস হেড প্লেট। এই প্লেটগুলির সংঘর্ষ ও সঞ্চালনের ফলে প্রায়শই ভূমিকম্প হয়।
ভূমিকম্পের পরপরই সুনামির সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ ছড়ালেও, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের গভীরতা এবং এর প্রকার অনুযায়ী সুনামির সম্ভাবনা নেই। কারণ, এই ধরনের গভীর ভূমিকম্পে সাধারণত সমুদ্রতলে বড়সড় স্থানচ্যুতি হয় না, যা সুনামির মূল কারণ।
বান্দা সাগর অঞ্চলটি ভূতাত্ত্বিক দিক থেকে পৃথিবীর অন্যতম জটিল এলাকা। এখানে একাধিক মাইক্রোপ্লেটের অস্তিত্ব রয়েছে, যা একে আরও অস্থির করে তোলে। এই অঞ্চলের ভূ-তল একাধিক ছোট ছোট প্লেটে বিভক্ত, যার মধ্যে রয়েছে:
- বান্দা সাগর প্লেট
- তিমুর প্লেট
- মোলুক্কা সাগর প্লেট
- বার্ডস হেড প্লেট
এই প্লেটগুলির চলাচল ও সংঘর্ষের ফলে ভূমিকম্পের ঝুঁকি সর্বদাই থেকে যায়।
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (BNPB) জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে এবং স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ডিসক্লেমার: এই প্রতিবেদনটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা ও ভূতাত্ত্বিক গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুত। কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংক্রান্ত তথ্য পরিবর্তনশীল হতে পারে। সর্বশেষ আপডেটের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশিকা অনুসরণ করুন।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊