ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: মধ্যস্থতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল দিল্লি, দাবি করল পাকিস্তান
ওয়াশিংটন/ইসলামাবাদ, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ — মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতার দাবি নিয়ে নতুন তথ্য সামনে আনলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও তাকে বলেছেন যে ভারত তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা প্রত্যাখ্যান করেছে, কারণ এটি একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়।
দার বলেন, “আমরা তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় আপত্তি করি না। দ্বিপাক্ষিক আলোচনাতেও আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু ভারত এটিকে দ্বিপাক্ষিক বিষয় বলে মধ্যস্থতা প্রত্যাখ্যান করেছে।”
তিনি আরও জানান, ২৫ জুলাই ওয়াশিংটনে মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকে তিনি সরাসরি জানতে চান আলোচনার অগ্রগতি সম্পর্কে। রুবিওর জবাব ছিল, “ভারত বলেছে এটি একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়।”
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেন, “আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত, কিন্তু আমরা কারও কাছে ভিক্ষা করব না। যদি কোনও দেশ আলোচনা চায়, আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু ভারত যদি না চায়, আমরা জোর করতে পারি না।”
তিনি সংলাপকে এগিয়ে যাওয়ার পথ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, “আলোচনার জন্য দুজনের প্রয়োজন। একতরফা ইচ্ছা যথেষ্ট নয়।”
১০ মে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩০ বারেরও বেশি সময় দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যদি ভারত ও পাকিস্তান সংঘর্ষ বন্ধ করে, তাহলে আমেরিকা তাদের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে।”
তবে ভারতের অবস্থান বরাবরই স্পষ্ট—যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত এসেছে উভয় দেশের ডিজিএমও (Director General of Military Operations)-এর সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে, কোনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই।
এই মন্তব্যের মাধ্যমে পাকিস্তান কার্যত ট্রাম্পের মধ্যস্থতার দাবিকে স্বীকৃতি দিলেও, ভারতের অবস্থান দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পক্ষে। ফলে দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে শান্তি আলোচনা আবারও আন্তর্জাতিক আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊