Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

ভোট আসে ভোট যায়, প্রতিশ্রুতি প্রতিশ্রুতিই থেকে যায়, জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পায় না আদিবাসী সম্প্রদায়

ভোট আসে ভোট যায়, প্রতিশ্রুতি প্রতিশ্রুতিই থেকে যায়, জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পায় না আদিবাসী সম্প্রদায়

Burdwan news


সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান:-


টানা বৃষ্টি, বাড়ির চারিপাশে কোমর পর্যন্ত জল। বাড়ির উঠুনেও জলে থ‌ই থ‌ই করছে ।ফাটল ধরেছে মাটির বাড়ির দেয়ালে।কারো কারো আবার মাটির ঝুপড়িও কেড়ে নিয়েছে বৃষ্টি আর বাঁকার জমা জল। বিষধর পোকামাকড় সাপগোপের উৎপাত চারিদিকে।আতঙ্কে মায়ের কোল জুড়ে রাত জাগছে শিশুরা।রাত জাগা ঘুম চোখে নাওয়া খাওয়া বন্ধ রেখে বৃষ্টি ভেজা শরীরে মাথা গোঁজার শেষ আশ্রয় টুকু সামলাতে ছেঁড়া ত্রিপল গুজছে চালে ফাঁকে।নতুন ত্রিপল আনতে গেলে ধমক খেতে হচ্ছে পঞ্চায়েতের কর্তাদের কাছে।এটি হলো পূর্ব বর্ধমানের রায়না ১ ব্লকের নতু গ্ৰাম‌ পঞ্চায়েতের আমরাগঢ় এলাকার ঘটনা।



এই প্রথম নয় দীর্ঘ বাম আমল থেকেই এই জল যন্ত্রণা ভোগ করে আসছেন এই এলাকার আদিবাসী মানুষজন।


রায়না নতু পঞ্চায়েতের আমরাগর এলাকায় ১০-১২ টি গ্ৰামে কম বেশি ২০‌ হাজাররো বেশি মানুষের বসবাস। এদের মধ্যে অধিকাংশই আদিবাসী সম্প্রদায়ের।

স্থানীয়রা বলেন এই প্রথম নয় দীর্ঘ বাম আমল থেকেই এই জল যন্ত্রনা ভোগ করতে হচ্ছে।জল নিকাশির কোনো ব্যবস্থা নেই।হাড় কঙ্কাল রাস্তায় বৃষ্টির জলে কাঁদায় প্যাঁচ প্যাঁচ করে।গ্ৰামের এই রাস্তা দিয়ে সড়ক পথে যেতে হয়। কাঁদা ভড়া রাস্তায় প্রতিদিন ঘটছে দূর্ঘটনা। স্কুল কলেজে যেতে ভয়পায় পড়ুয়ারা। অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে চায়না গ্ৰামের ভিতরে।এই পরিস্থিতিতে একটি বারের জন্যও এসে দেখন না পঞ্চায়েত প্রধান থেকে জেলা প্রশাসন। অথচ ভোটের আগে বড়ো বড়ো বুলি ঝাড়েন নেতারা। ভোটের আগে নেতারা আসে আর বলেজায় বাড়ি হবে, রাস্তা হবে, ড্রেন হবে বাথরুম হবে।হবে হবেই করে যাচ্ছে, হচ্ছে আর না?কবে হবে সেটাও জানেন না আদিবাসী মা বোনেরা। আদৌও কি কোনো দিন হবে,না বানোরকে কলা দেখিয়ে ভোট‌ই নেওয়া হবে। উঠছে প্রশ্ন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code