লোকসভায় পাস হয়ে গেল ক্রীড়া বিল
দীর্ঘ অপেক্ষার পর সোমবার লোকসভায় পাস হয়ে গেল জাতীয় ক্রীড়া বিল। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয় একে স্বাধীনতার পর ক্রীড়াক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সংস্কার বলে বর্ণনা করেছেন। একই দিন বেলা দুইটার পর লোকসভা আবার বসলে জাতীয় ডোপিং-বিরোধী (সংশোধনী) বিলও পাস হয়ে যায়।
বিল পেশের সময় বিরোধী দলগুলির অধিকাংশ সাংসদ লোকসভায় উপস্থিত ছিলেন না। এসআইআর-এর বিরোধিতায় তাঁরা নির্বাচন সদনের দিকে যাচ্ছিলেন, তবে পথে তাঁদের আটক করা হয়। পরবর্তীতে দু’জন সাংসদ বিলের পক্ষে বক্তব্য রাখেন। বিরোধী দলের সাংসদরা পরে সভায় এসে স্লোগান দিতে থাকেন। সেই স্লোগান চলাকালীন ধ্বনিভোটের মাধ্যমে বিলটি পাস হয়। মাণ্ডবীয় ভাষণ দেওয়ার সময়ও বিরোধীদের স্লোগান চলছিল।
বিল পাসের পর মাণ্ডবীয় বলেন, “স্বাধীনতার পর ক্রীড়াক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সংস্কার হল। এই বিলের সাহায্যে ক্রীড়া সংস্থাগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা, বিচার নিশ্চিত করা এবং সেরা প্রশাসনের ব্যবস্থা করা হবে। ভারতের খেলাধুলোর বাস্তুতন্ত্রে এই বিলের তাৎপর্য অপরিসীম। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিল এবং সংস্কারে বিরোধী পক্ষ অংশ নিল না।”
তাঁর কথায়, “১৯৭৫ এং ১৯৮৫ সালেও এই চেষ্টা করা হয়েছিল। প্রথম খসড়া তৈরি ছিল। তবে খেলাধুলো বরাবরই ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে। কিছু মন্ত্রী এই বিল পেশ করার চেষ্টা করলেও সফল হননি। ২০১১ সালে জাতীয় ক্রীড়াবিধি তৈরি হয়। তার পরে আবার বিল তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। মন্ত্রীসভায় পৌঁছনোর পর আবার বিল পেশের সময় পিছিয়ে যায়।”
নতুন আইনে বলা হয়েছে, দেশের সব জাতীয় ক্রীড়া সংস্থাকে নিয়মিতভাবে কর্মসমিতির নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন না হলে তাদের সরকারি স্বীকৃতি কেড়ে নেওয়া হবে। প্রতি বছর বাধ্যতামূলকভাবে অডিট করাতে হবে সংস্থাগুলিকে, যাতে আর্থিক স্বচ্ছতা বজায় থাকে। এছাড়া ক্রীড়াক্ষেত্রে উদ্ভূত যেকোনও মামলা বা বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য একটি জাতীয় ক্রীড়া ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে, যা হবে এই ধরনের মামলার চূড়ান্ত বিচারকেন্দ্র।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊