মহাকাশে বন্ধুত্বের নতুন অধ্যায়: পৃথিবীর উপর নজরদারি চালাবে NASA-ISRO রাডার
যখন পৃথিবীর রাজনীতিতে দ্বন্দ্ব, শুল্কযুদ্ধ আর কূটনৈতিক চাপানউতোর চলেছে, তখন মহাকাশে এক নিঃশব্দ বন্ধুত্বের গল্প লিখছে ভারত ও আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন, ‘বন্ধু’ নরেন্দ্র মোদির দেশের উপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়িয়েছেন। কিন্তু সেই চাপের ছায়া ছুঁতে পারেনি মহাকাশকে। সেখানে ইসরো ও নাসা একসঙ্গে হাত মিলিয়ে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করেছে বিশ্বের বৃহত্তম রাডার অ্যান্টেনা।
এই রাডার শুধু প্রযুক্তির কীর্তি নয়, এটি এক প্রতিশ্রুতি—পৃথিবীর প্রতিটি কোণায় নজর রাখবে, আগাম সতর্ক করবে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে। হিমবাহের গলন, জঙ্গলের ধ্বংস, ভূমিকম্পের কম্পন কিংবা জলবায়ুর পরিবর্তন—সবকিছুর উপর ২৪ ঘণ্টা নজর রাখবে এই অ্যান্টেনা। নিসার নামে পরিচিত এই অভিযান শুরু হয়েছিল ইসরো ও নাসার যৌথ উদ্যোগে। সেই অভিযানেরই অংশ হিসেবে ৩৩ ফুট দীর্ঘ রাডার অ্যান্টেনাটি মহাকাশে পাঠানো হয়েছে, পৃথিবী থেকে প্রায় ৪৬০ মাইল দূরে।
নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি এবং ইসরো একসঙ্গে এই উপগ্রহটি নিয়ন্ত্রণ করবে। দিন-রাত, আলো-অন্ধকারের ফারাক না রেখে, এটি কাজ করে যাবে নিরবিচারে। কোনও বিপর্যয়ের সম্ভাবনা দেখা দিলেই আগাম সতর্কবার্তা পাঠাবে, যাতে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এই প্রযুক্তি শুধু বিজ্ঞান নয়, এটি মানবতার সেবায় নিয়োজিত এক নিরব সহচর।
কয়েকদিন আগেই ইসরো জানিয়েছিল, ভারতের মাটি থেকে ৬,৫০০ কেজি ওজনের মার্কিন স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠাবে তারা। ইসরো চেয়ারম্যান ভি নারায়ণনের এই ঘোষণা নিঃসন্দেহে ইঙ্গিত দেয়, মহাকাশে ভারত-আমেরিকার সহযোগিতা আরও গভীর হচ্ছে। যখন মাটিতে দ্বন্দ্ব, তখন আকাশে বন্ধুত্ব—এই নিসার মিশন হয়তো দুই দেশের সম্পর্কের নতুন আলো দেখাবে।
এই রাডার অ্যান্টেনা শুধু প্রযুক্তির জয় নয়, এটি এক মানবিক প্রয়াস—পৃথিবীকে আরও নিরাপদ, আরও সচেতন করে তোলার পথে এক বড় পদক্ষেপ।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊