GST সংস্কারে বড় ঘোষণা: বিলাসবহুল পণ্যে ৪০% কর, সাধারণ পণ্যে স্বস্তি—দীপাবলির মধ্যেই বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কেন্দ্র
৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে লাল কেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণায় নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে জিএসটি সংস্কার। কেন্দ্রীয় সরকার এবার জিএসটি কাঠামোতে বড় ধরনের পরিবর্তনের পথে হাঁটছে। সরকারি সূত্রের মতে, নতুন ব্যবস্থায় জিএসটির দুটি প্রধান হার থাকবে—৫% এবং ১৮%। এর পাশাপাশি বিলাসবহুল ও ক্ষতিকারক পণ্যের উপর ৪০% পর্যন্ত বিশেষ কর আরোপ করা হবে। এই সংস্কার দীপাবলির মধ্যেই বাস্তবায়িত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বর্তমানে ১২% জিএসটি স্ল্যাবে থাকা প্রায় ৯৯% পণ্যকে ৫% স্ল্যাবে স্থানান্তর করার প্রস্তাব রয়েছে। একইভাবে, ২৮% স্ল্যাবে থাকা প্রায় ৯০% পণ্যকে ১৮% স্ল্যাবে নিয়ে আসা হবে। সরকারের মতে, এই পরিবর্তন কর কাঠামোকে সহজ করবে এবং সাধারণ মানুষের উপর করের বোঝা কমাবে। অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, এই প্রস্তাব তিনটি স্তম্ভের উপর ভিত্তি করে তৈরি—কাঠামোগত সংস্কার, হারের যৌক্তিকীকরণ এবং জীবনযাত্রার সহজীকরণ।
নতুন ব্যবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় ও সাধারণ ব্যবহৃত পণ্যের উপর মাত্র ৫% জিএসটি আরোপ করা হবে। তামাকজাত পণ্যের উপর ৪০% জিএসটি আরোপ করা হলেও মোট করের বোঝা ৮৮% স্তরেই থাকবে। পেট্রোলিয়াম পণ্যগুলিকে এখনও জিএসটির আওতায় আনা হবে না, তাদের উপর আগের মতোই আলাদা কর আরোপ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর ১০৩ মিনিটের ভাষণে ‘পরবর্তী প্রজন্মের সংস্কার’-এর কথা উল্লেখ করে জিএসটি আইন সংশোধনের জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “ভারতকে স্বনির্ভর করতে হলে কর ব্যবস্থাকে আরও সহজ ও স্বচ্ছ করতে হবে।” তাঁর ভাষণে সেমিকন্ডাক্টর থেকে সার পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার উপর জোর দেওয়া হয়।
বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভারতীয় পণ্যের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কের প্রেক্ষিতে এই জিএসটি সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য এটি একটি বড় স্বস্তির বার্তা, যা উৎপাদন ও ভোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে রাজস্ব ঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊