Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

কবে পশ্চিমবঙ্গে SIR? কি জানালো নির্বাচন কমিশন

কবে পশ্চিমবঙ্গে SIR? কি জানালো নির্বাচন কমিশন 

Voter list



বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়া নিয়ে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে ওঠা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আজ একটি সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার, সহকারী নির্বাচন কমিশনার সুখবীর সিং সাঁধু ও বিবেক জোশী উপস্থিত ছিলেন।

বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করেছে যে এসআইআর প্রক্রিয়ায় পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে এবং অনেক ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে, নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, "কোনো প্রমাণ ছাড়া কোনো ভোটারের নাম বাদ যাবে না"। কমিশন আরও জানিয়েছে যে, "নির্বাচন কমিশনের কাছে কোনো পক্ষ নেই, সব দল সমান"।


বিহারের খসড়া ভোটার তালিকায় প্রায় ৮০,০০০ ভোটারের বাড়ির ঠিকানা 'শূন্য' উল্লেখ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে কমিশন ব্যাখ্যা দিয়েছে যে, 'শূন্য' মানে এই নয় যে তারা ভুয়ো ভোটার, বরং অনেক ক্ষেত্রে বাড়ির নম্বর থাকে না, সেগুলিই 'শূন্য' হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।


কমিশন আরও জানিয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর প্রক্রিয়া কবে শুরু হবে, তা সঠিক সময়ে ঘোষণা করা হবে। পশ্চিমবঙ্গে কবে থেকে এসআইআর শুরু হবে, তা জানতে চাওয়া হয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে। ওই সময় সাংবাদিক বৈঠকে অপর দুই নির্বাচন কমিশনার সুখবির সিংহ সাঁধু এবং বিবেক জোশীও উপস্থিত ছিলেন। জ্ঞানেশ জানান, তাঁরা তিন জনে মিলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য রাজ্যে কবে থেকে এসআইআর শুরু হবে, তা পরবর্তী কালে সঠিক সময়ে ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।

বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, এসআইআর প্রক্রিয়া ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার একটি কৌশল। তবে নির্বাচন কমিশন এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে জানিয়েছে যে, এই প্রক্রিয়া শুধুমাত্র ভোটার তালিকার নির্ভুলতা নিশ্চিত করার জন্য।



নির্বাচন কমিশনের এই অবস্থান বিরোধী দলগুলির মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে, তবে কমিশন তার নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতার ওপর জোর দিয়েছে। কেন এসআইআর-এর প্রয়োজন হল? কমিশন জানায়, “প্রতি বছর যে সংশোধন হয়, তা অনেকটা ‘র‌্যান্ডম’ উপায়ে করা হয়। এখনও পর্যন্ত দেশে ১০ বারেরও বেশি এসআইআর হয়েছে। ভোটার তালিকার সবচেয়ে ব্যাপক শুদ্ধিকরণের জন্য এই এসআইআর প্রয়োজন।”


নির্বাচন কমিশনের কাঁধে বন্দুক রেখে ভারতের ভোটারদের নিশানা করা হচ্ছে, রাজনীতি করা হচ্ছে বলেও জানান কমিশন। পাশাপাশি এদিন কমিশন স্পষ্টভাবে জানায় যারা এদেশের নাগরিক নন তারা ভোট দিতে পারবে না। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code