ডিএ মামলা: সরকারি কর্মীদের ডিএ মেটাতে ‘RBI থেকে ধার নিতে হবে’, জানালেন কপিল সিব্বল
নয়াদিল্লি: পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা (ডিএ) সংক্রান্ত মামলার শুনানি মঙ্গলবারও নিষ্পত্তি হলো না। বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের পক্ষে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি ডিএ মেটানোর ক্ষেত্রে রাজ্যের আর্থিক সংকটের কথা তুলে ধরেন এবং দাবি করেন যে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ মেটাতে হলে রাজ্যকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) থেকে ধার নিতে হবে।
ডিএ কি মৌলিক অধিকার?
শুনানির শুরুতেই বিচারপতিরা দু'পক্ষের কাছে ডিএ মৌলিক অধিকার কিনা, সেই বিষয়ে জানতে চান। এর জবাবে কর্মচারী সংগঠনগুলোও স্বীকার করে নেয় যে ডিএ মৌলিক অধিকার নয়। তবে তারা কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘভাতা দেওয়ার দাবিতে অনড় থাকে।
রাজ্যের আর্থিক সংকট এবং সিব্বলের যুক্তি:
কপিল সিব্বল আদালতে রাজ্যের আর্থিক দুর্দশার কথা তুলে ধরে বলেন, “বাজেটে বাড়তি মহার্ঘভাতার জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। এই বিপুল অঙ্কের ডিএ মেটাতে হলে রাজ্যকে আরবিআই থেকে ধার নিতে হবে, যার জন্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন প্রয়োজন। এই প্রক্রিয়াটি অনেক দীর্ঘ এবং রাজ্য সরকার আদৌ এতে রাজি হবে কিনা, তা দেখার বিষয়।" তিনি আরও বলেন, রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি এমন নয় যে ধার নিয়ে তা শোধ করা সম্ভব হবে।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ:
রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল আরও অভিযোগ করেন যে, কোভিড মহামারীর সময় রাজ্যকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। এর পাশাপাশি, কেন্দ্র সরকার ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের বকেয়া টাকাও দিচ্ছে না, যা রাজ্যকে নিজেদের কোষাগার থেকে মেটাতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এত বিপুল পরিমাণ ডিএ মেটানো রাজ্যের পক্ষে কঠিন বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘভাতা দিতে কোনো রাজ্যকে বাধ্য করা যায় না।
পরবর্তী শুনানি:
রাজ্যের হয়ে সওয়াল মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। এবার বুধবার এই মামলায় আবেদনকারী কর্মচারী সংগঠনগুলির বক্তব্য শুনবে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই শুনানির পরেই মামলার বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপের ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊