SSC Case Update : 'চিহ্নিত অযোগ্যদের' পক্ষে রাজ্য ও কমিশন, কেন? প্রশ্ন আদালতের, 'অপূরণীয় ক্ষতি' হবে সওয়াল রাজ্যের
'দাগি অযোগ্যদের' পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করাতে হাইকোর্টে সওয়াল রাজ্যের, মরিয়া স্কুল সার্ভিস কমিশনও। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নতুন নিয়োগপরীক্ষায় ‘দাগি’রা যোগ দিতে পারবে না এমনটাই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টে কমিশনের তরফে জানানো হয়, এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ৬০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। তার মধ্যে মাত্র ১৮৮ জন 'চিহ্নিত দাগি' আবেদন করেছেন। মোট 'চিহ্নিত দাগি' ১৮০১ জন। রাজ্যের তরফে এমন সওয়ালও করা হয়েছে যে, সুপ্রিম কোর্টের তরফে নির্দিষ্টভাবে বলে দেওয়া হয়নি যে, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চিহ্নিত অযোগ্যরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
এসএসসি-র কাছে মোট তিনটি প্রশ্ন করেছেন বিচারপতি সেন। এক, এসএসসি কেন ‘দাগি’ বা ‘চিহ্নিত অযোগ্য’দের পাশে দাঁড়াচ্ছে? দুই, ‘দাগি’দের পাশে দাঁড়ানোর মতো কোনও অবস্থানে কি এসএসসি রয়েছে? তিন, নিয়োগপ্রক্রিয়ায় যোগ দেওয়া বা না-দেওয়া নিয়ে কমিশন কী ভাবে প্রভাবিত হচ্ছে।
আদালতের প্রশ্নের জবাবে এসএসসি আইনজীবী জানান, কারা পরীক্ষায় বসতে পারবে আর কারা পারবে না তা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। কারা নতুন নিয়োগে যোগ দিতে পারবেন এবং কারা পারবেন না, তা স্পষ্ট ভাবে বুঝতে চাইছে এসএসসি। হাইকোর্ট সাদা খাতা, প্যানেল বহির্ভূত নিয়োগ ও মেয়াদ-উত্তীর্ণ প্যানেলে পাওয়া চাকরি 'দাগি' বলে ঘোষনা করেছে সুপ্রিমকোর্টও সেই রায়কে মান্যতা দিয়েছে।
পাশাপাশি আরোও যুক্তি, দোষীদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের বেতন ফেরৎ দিতে হবে। তবে পরীক্ষায় কেন বসতে দেওয়া হবে না। এক দোষের একাধিক সাজা কি প্রাপ্য? প্রশ্ন কল্যানের। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘‘ওঁরা (দাগি হিসেবে চিহ্নিতরা) যদি জালিয়াতি এবং দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি পান তা হলে তার ফলও ভুগতে হবে।’’
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊