Supreme Court : নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধনে স্থগিতাদেশ নয়, আধার-ভোটার সহ নথি গ্রহণের সুপারিশ সুপ্রিম কোর্টের
নয়াদিল্লি, ১০ই জুলাই, ২০২৫: বিহারে (Bihar) নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধনের (Intensive Voter Revision - SIR) ওপর আপাতত কোনো স্থগিতাদেশ (Stay Order) দিল না সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। তবে, বৃহস্পতিবার দীর্ঘ শুনানি শেষে দেশের শীর্ষ আদালত নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission - EC) গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করেছে যে, আধার কার্ড (Aadhaar Card), ভোটার কার্ড (Voter ID) এবং রেশন কার্ডকেও (Ration Card) এই সংশোধন প্রক্রিয়ায় বৈধ নথি হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। একইসঙ্গে, শীর্ষ আদালত নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছে যে, ঠিক এই সময়েই কেন সংশোধনের কাজ শুরু করা হলো।
ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন নিয়ে একাধিক মামলা সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল। বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চে বৃহস্পতিবার এই মামলাগুলির একত্রীকরণ করে শুনানি শুরু হয়। এদিন শুনানিতে মামলাকারীদের (Petitioners) তরফে আইনজীবী গোপাল শঙ্করনারায়ণ দাবি করেন যে, ১৯৫০ সালের আইন এবং ভোটার অন্তর্ভুক্ত আইনের অধীনে ভোটার তালিকায় দু'টি ধরনের সংশোধনের কথা বলা আছে: নিবিড় সমীক্ষা এবং সংক্ষিপ্ত সমীক্ষা। কিন্তু কমিশন যে 'স্পেশ্যাল ইনটেনসিভ রিভিশন' (Special Intensive Revision) বা নিবিড় সংশোধন শুরু করেছে, তা বস্তুত একেবারে শুরু থেকে ভোটার তালিকা (Voter List) তৈরির মতো বিষয় এবং এর কোনো উল্লেখ আইনে (Law) নেই। তিনি এটিকে "ভারতের ইতিহাসে প্রথমবার" হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন।
মামলাকারীদের প্রধান উদ্বেগ হলো, নির্বাচন কমিশন নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র হিসেবে মোট ১১টি নথির তালিকা দিয়েছে, কিন্তু বহু প্রান্তিক (Marginal) ও দরিদ্র (Poor) ভোটারের কাছে এই নথিগুলির কোনোটিই নেই। এর ফলে এই সকল ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কা (Risk of Exclusion) সবচেয়ে বেশি। এই কারণেই আরজেডি (RJD) এবং কংগ্রেস (Congress) সহ একাধিক দল SIR-এর বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।
তবে, বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, "নির্বাচন কমিশনকে সন্দেহ করার কোনো কারণ নেই। প্রামাণ্য নথিপত্র খতিয়ে দেখতে চাইছে কমিশন। আপাতত সমীক্ষা চলুক।" শীর্ষ আদালত আধার কার্ড সহ উল্লিখিত তিনটি পরিচয়পত্রও প্রামাণ্য নথি হিসেবে গ্রহণ করার সুপারিশ করেছে এবং কেন সেই নথিগুলি গৃহীত হবে না, সে বিষয়ে ২১শে জুলাইয়ের মধ্যে কমিশনকে জবাব (Reply) পেশ করতে বলেছে।
এই মামলার পরবর্তী শুনানি (Next Hearing) আগামী ২৮শে জুলাই ধার্য করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এই সুপারিশ ও পর্যবেক্ষণ বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়া এবং আসন্ন নির্বাচনগুলির উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊