আপনার প্রিয়জন কি অন্য কারো প্রেমে মজেছে? পরকীয়া জানার কিছু লক্ষণ জেনেনিন এখনি

extramarital affair, Relationship, Extramarital affair signs, Signs of cheating partner, Is my partner cheating?, Affair symptoms


সম্পর্কে অবিশ্বাস বা প্রতারণা নিঃসন্দেহে একটি কঠিন এবং যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতা। অনেক সময় আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে, আমাদের প্রিয়জন কি অন্য কারো প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন? যদিও কোনো নির্দিষ্ট লক্ষণ দেখে নিশ্চিতভাবে বলা কঠিন, তবে কিছু আচরণগত পরিবর্তন বা ইঙ্গিত আপনাকে একটি ধারণা দিতে পারে। তবে মনে রাখবেন, এই লক্ষণগুলো কেবল সম্ভাবনামূলক, এবং ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে সরাসরি কথা বলাই সবচেয়ে ভালো।

আচরণের পরিবর্তন: সম্ভাব্য ইঙ্গিত

আপনার প্রিয়জনের দৈনন্দিন আচরণে যদি আকস্মিক বা বড় ধরনের পরিবর্তন আসে, তবে তা পরকীয়ার একটি লক্ষণ হতে পারে। কিছু সাধারণ আচরণগত পরিবর্তন নিচে দেওয়া হলো:

গোপনীয়তা বৃদ্ধি: হঠাৎ করে যদি আপনার প্রিয়জন তার ফোন, ল্যাপটপ বা সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত গোপনীয়তা বজায় রাখতে শুরু করেন, যেমন – ফোন লক করে রাখা, মেসেজ এলে তাড়াতাড়ি লুকিয়ে ফেলা, বা আপনার সামনে ফোন ব্যবহার করা কমিয়ে দেওয়া।

মেজাজের পরিবর্তন: আপনার প্রতি তাদের মেজাজ বা আচরণে নাটকীয় পরিবর্তন আসতে পারে। তারা হয়তো হঠাৎ করেই খুব বিরক্ত, অস্থির বা খিটখিটে হয়ে উঠছেন, অথবা কোনো কারণ ছাড়াই অতিরিক্ত উচ্ছ্বসিত দেখাচ্ছে।

শারীরিক দূরত্ব: সম্পর্কের মধ্যে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা কমে যাওয়া বা তারা আপনার স্পর্শ এড়িয়ে চলতে পারেন। যৌন জীবনে অনীহা বা আকস্মিক পরিবর্তনও একটি লক্ষণ হতে পারে।

সময় কাটানো: আপনার সঙ্গে সময় কাটানোর আগ্রহ কমে যাওয়া। তারা হয়তো বন্ধুদের সাথে বা অফিসের কাজে বেশি সময় দিচ্ছেন বলে অজুহাত দেখাচ্ছেন, কিন্তু সেই সময়ের হিসাব ঠিকমতো দিতে পারছেন না।

শারীরিক চেহারায় মনোযোগ: যদি তারা হঠাৎ করেই নিজের চেহারা বা সাজপোশাকের প্রতি অতিরিক্ত মনোযোগ দিতে শুরু করেন, যেমন – নতুন পোশাক কেনা, জিমে যাওয়া, বা পার্লারে যাওয়া, যা আগে করতেন না।

আকস্মিক উপহার বা অতিরিক্ত মনোযোগ: কখনও কখনও অপরাধবোধ থেকে তারা আপনাকে অপ্রত্যাশিত উপহার দিতে পারেন বা হঠাৎ করেই আপনার প্রতি অতিরিক্ত যত্নশীল হয়ে উঠতে পারেন, যা তাদের স্বাভাবিক আচরণের বাইরে।

অজুহাত ও মিথ্যা: তাদের কথায় অসঙ্গতি খুঁজে পাওয়া বা ছোট ছোট বিষয়ে মিথ্যা কথা বলা, যা আগে করতেন না। বিশেষ করে তাদের দিনের কার্যকলাপ বা তারা কোথায় ছিলেন, সে বিষয়ে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় অনীহা: যদি তারা আপনার সাথে ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা বা পরিকল্পনা করতে অনীহা দেখান, বা আপনাদের যৌথ ভবিষ্যৎ নিয়ে নিরুৎসাহী থাকেন।

ফোন কল বা মেসেজ: গভীর রাতে বা অস্বাভাবিক সময়ে ফোন কল আসা এবং তারা আপনার সামনে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করা। অনেক সময় মেসেজ বা কল এলে তারা ঘর থেকে বেরিয়ে যান।

অভিযোগ বা দোষারোপ: কোনো কারণ ছাড়াই আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা বা আপনাকে বিভিন্ন বিষয়ে দোষারোপ করা শুরু করতে পারেন। এটি নিজেদের অপরাধবোধ থেকে মনোযোগ সরানোর একটি কৌশল হতে পারে।

কী করবেন?

যদি আপনার মনে হয় যে আপনার প্রিয়জনের আচরণে উপরের লক্ষণগুলো দেখা যাচ্ছে, তবে প্রথমেই নিশ্চিত হয়ে নিন। সরাসরি অভিযোগ না করে, ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করুন। খোলামেলা আলোচনা একটি সম্পর্ক বাঁচানোর শেষ সুযোগ হতে পারে। শান্তভাবে আপনার অনুভূতিগুলো প্রকাশ করুন এবং তার দিকটিও শুনুন। যদি কোনো সমাধানের পথ না পাওয়া যায়, তবে প্রয়োজনে একজন সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ বা থেরাপিস্টের সাহায্য নিতে পারেন। মনে রাখবেন, সম্পর্কের ভিত্তি হলো বিশ্বাস, আর তা ভেঙে গেলে মেরামত করা কঠিন হতে পারে।


ডিসক্লেইমার

সংবাদ একলব্য নিউজ পোর্টাল কর্তৃক প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। এখানে উল্লিখিত লক্ষণগুলি বিভিন্ন গবেষণার উপর ভিত্তি করে সম্ভাব্য ইঙ্গিত হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে এবং এগুলো কোনো ব্যক্তির পরকীয়া সম্পর্কের নিশ্চিত প্রমাণ নয়। মানুষের আচরণ জটিল এবং এই লক্ষণগুলোর পেছনে অন্যান্য বহু কারণ থাকতে পারে। এই প্রতিবেদনের তথ্যের উপর ভিত্তি করে কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্কের অবনতি বা ক্ষতির জন্য সংবাদ একলব্য নিউজ পোর্টাল কোনোভাবেই দায়ী থাকবে না।