মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর-সহ ৭ অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস
মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর-সহ ৭ অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস পেলেন। বিজেপি নেত্রী প্রজ্ঞা ছাড়াও মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডে ‘হাই প্রোফাইল’ অভিযুক্ত ছিলেন প্রাক্তন সেনাকর্মী লেফ্টেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ পুরোহিত, স্বামী অসীমানন্দ ওরফে নবকুমার সরকার। যদিও পরে চার্জশিটে নাম ছিল না অসীমানন্দের। এদিন এনআইএ আদালত যে ৭ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দিয়েছে তাঁরা হল প্রজ্ঞা ঠাকুর, কর্নেল প্রসাদ, প্রাক্তন মেজর রমেশ উপধ্যায়, সুধাকর চতুর্বেদী, অজয় রাহিরকর, সুধাকর ধার দ্বিবেদী আলিয়াস শংকরাচার্য এবং সমীর কুলকার্নি।
২০০৮-এর ২৯ সেপ্টেম্বর মোটরবাইকে রাখা দুটি বোমা বিস্ফোরণে ছয় জনের মৃত্যু ও শতাধিক আহতের ঘটঞা ঘটে মালগাওয়ে। ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রী হিসেবে গ্রেফতার হয়েছিলেন সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। জামিন পাওয়ার পর মধ্যপ্রদেশের ভোপাল আসনে বিজেপি প্রজ্ঞাকে প্রার্থী করেছিল। মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসদমন শাখার (এটিএস) প্রাথমিকভাবে জানায়, বিস্ফোরণের নেপথ্যে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। যে মোটরবাইকে বোমা রাখা ছিল সেটা প্রজ্ঞা ঠাকুরের নামে নথিভুক্ত ছিল। নির্দিষ্ট একটি ধর্মের মানুষকে নিশানা করতেই বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেন প্রজ্ঞা। একে একে গ্রেপ্তার হন প্রজ্ঞা ঠাকুর, কর্নেল প্রসাদ-সহ অন্য অভিযুক্তরা। তবে আজ এন আই এ-র বিশেষ আদালত তাঁদের বেকসুর খালাস ঘোষনা দেন। বিচারক একে লাহোটি বলেন, “সমাজে এটা একটা ভয়াবহ ঘটনা। কিন্তু কেবল নৈতিকতার যুক্তিতে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারে না আদালত।”
'মালেগাঁও বিস্ফোরণে ৩ থেকে ৪টি সংস্থা কাজ করছে। সরকার পক্ষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে যে বিস্ফোরণটি বাইকেই হয়েছিল। তদন্তে অনেক ত্রুটি ছিল। ঘটনাস্থল থেকে আঙুলের ছাপ পাওয়া যায়নি। বাইকের চেসিস নম্বর পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর বিশেষজ্ঞরা প্রমাণ সংগ্রহ করেননি। প্রমাণ নষ্টের ঘটনা ঘটেছে', জানাল মুম্বইয়ের NIA-র বিশেষ আদালত। কঠোর মন্তব্যে আদালত বলেছে, "সন্ত্রাসবাদের কোনও ধর্ম নেই, তবে নৈতিক ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না।"
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊