জগন্নাথ রথযাত্রা ২০২৫ এর পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী
হিন্দু ধর্মে জগন্নাথের রথযাত্রা অত্যন্ত পবিত্র এবং পুণ্যময় বলে বিবেচিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, যে কোনও ভক্ত এই যাত্রায় সত্যিকারের হৃদয়ে অংশগ্রহণ করেন বা প্রভুর রথ টানেন, তার জীবনের পাপ বিনষ্ট হয়। এটাও বিশ্বাস করা হয় যে, রথযাত্রায় অংশগ্রহণ করে একজন ব্যক্তি এমন ফল লাভ করেন যেন তিনি একশটি যজ্ঞের আয়োজন করেছেন। এই কারণেই প্রতি বছর দেশ-বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্ত এই যাত্রায় অংশ নিতে পুরীতে আসেন, যাতে তারা আধ্যাত্মিক শান্তি এবং মোক্ষ লাভ করতে পারেন।
জগন্নাথ রথযাত্রা ২০২৫ এর পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী
২৭ জুন, শুক্রবার – রথযাত্রা শুরু হয়
ভগবান জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রা পুরীর জগন্নাথ মন্দির থেকে তিনটি ভিন্ন বিশাল রথে চড়ে গুন্ডিচা মন্দিরের দিকে যাত্রা করেন। হাজার হাজার ভক্ত ভারী দড়ি দিয়ে এই রথগুলিকে টেনে নিয়ে যান। রথে আরোহণের আগে, পুরীর রাজা 'ছেড়া পাঁহারা' অনুষ্ঠান করেন, যেখানে তিনি সোনার ঝাড়ু দিয়ে রথের মঞ্চ পরিষ্কার করেন।
১ জুলাই, মঙ্গলবার – হেরা পঞ্চমী
যখন ভগবান গুন্ডিচা মন্দিরে পাঁচ দিন কাটান, তখন পঞ্চম দিনে দেবী লক্ষ্মী ক্রুদ্ধ হন এবং ভগবান জগন্নাথের সাথে দেখা করতে আসেন। এই অনুষ্ঠানকে হেরা পঞ্চমী বলা হয়।
৪ জুলাই, শুক্রবার – সন্ধ্যা দর্শন
গুন্ডিচা মন্দিরে বিশেষ দর্শনের আয়োজন করা হয়। এই দিনে ভক্তরা ভগবান জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রার দর্শন করেন এবং এটি একটি অত্যন্ত শুভ উপলক্ষ হিসেবে বিবেচিত হয়।
৫ জুলাই, শনিবার – বাহুড়া যাত্রা
ভগবান জগন্নাথ তাঁর ভাই এবং বোনের সাথে রথে চড়ে জগন্নাথ মন্দিরে ফিরে আসেন। এই প্রত্যাবর্তন যাত্রাকে বলা হয় বাহুদা যাত্রা। পথে, তারা মাউশি মা মন্দিরে (অর্ধেক পথ) থামে, যেখানে তাদের ওড়িশার একটি বিশেষ মিষ্টি 'পোড়া পিঠা' পরিবেশন করা হয়।
৬ জুলাই, রবিবার – সুনাবেশা
এই দিনে, ভগবান জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রাকে সোনার অলঙ্কার দিয়ে সজ্জিত করা হয়। এটি একটি অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ সাজসজ্জা যা হাজার হাজার ভক্ত প্রত্যক্ষ করেন।
৭ জুলাই, সোমবার – অধর পানা
এই দিনে, দেবতাদের উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ মিষ্টি পানীয় 'অধর পানা' পরিবেশন করা হয়, যা বড় মাটির পাত্রে প্রস্তুত করা হয়। এতে জল, দুধ, পনির, চিনি এবং কিছু ঐতিহ্যবাহী মশলা মিশ্রিত করা হয়।
৮ জুলাই, মঙ্গলবার – নীলাদ্রি বিজয়া
এটি রথযাত্রার শেষ এবং সবচেয়ে আবেগঘন দিন। এই দিনে ভগবান জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রা তাদের মূল মন্দিরে ফিরে আসেন এবং গর্ভগৃহে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হন। এটিকে 'নীলাদ্রি বিজয়' বলা হয়, যার অর্থ - "নীলাচল (পুরী) পুনরায় বিজয়"।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊