তৃণমূল জেলা যুব সভাপতি কিন্তু তৃণমূলের থেকে বিজেপিতেই পরিচিত মুখ! বিতর্কে ভরে গেছে সোশ্যাল মিডিয়া 





তৃণমূলের যুব কর্মীরাই চেনেন না জেলা যুব সভাপতিকে কিন্তু ঘোর বিরোধী বিজেপির কর্মীরাই চেনেন তৃণমূল জেলা যুব সভাপতিকে! স্যোসাল মিডিয়া জুড়ে এমনটাই শোনা যাচ্ছে। শনিবার জেলা যুব সভাপতি ও কমিটির ঘোষনা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কোচবিহার জেলার ক্ষেত্রেও কমিটি ও জেলা যুব সভাপতির নাম জানানো হয়েছে। কিন্তু নাম প্রকাশ্যে আসতেই হইচই কোচবিহারের রাজনীতিতে। তৃণমূল থেকে বিজেপি রাজনৈতিক দলের অন্দরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। তৃণমূলের নেতা কর্মীরাও তুলছে প্রশ্ন। 

কোচবিহার জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি করা হয়েছে স্বপন বর্মনকে‌। কিন্তু কে এই স্বপন বর্মন? তৃণমূলের যুবাদের অন্দরেই এই প্রশ্ন! চেনেন না অনেকেই! তবে বর্তমান মূল বিরোধী দল বিজেপির অতি চেনা মুখ! এমনটাই ঘুরে বেড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। আসলে এক সময়ে বিজেপি করতেন এই স্বপন বর্মন। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে গেরুয়া শিবিরের কর্মসূচির ছবি পোস্ট করে সমালোচনায় মুখরিত হয়েছে নেট পাড়া। কিন্তু সবুজের ঘরে তিনিই এখন রাজা। জেলা যুব সভাপতি।

সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এই ঘটনার আলোচনা জোড়ালো। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসা নেতাকে সভাপতি পদে বসানোর পরেই প্রশ্নে আর ট্রলে ছেয়ে গেছে ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্ম। অনেকের প্রশ্ন, 'তৃণমূলের কেউ কি যোগ্য না?', অনেকের কথায়, 'যারা দল টিকিয়ে ধরে আসছে, লড়াই করছে তাঁরা বঞ্চিত', কারোর কথায়, 'তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যেন না যায় তাঁর জন্য পদ দেওয়া হয়েছে'। আবার অনেক তৃণমূল কর্মী সভাপতি বদলের দাবিও জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ নাম উল্লেখ করে সভাপতি করার দাবি তুলেছে। সোশ্যাল মিডিয়া এই বিষয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক।



যদিও এবিষয়ে বিতর্কের অবসান ঘটাতে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাণ্ডেলে জেলা যুব সভাপতি করার স্পষ্ট কারণ জানিয়েছেন। গত লোকসভায় স্বপন বর্মনের উল্লেখযোগ্য অবদানের কথা স্মরণ করান তিনি। তাঁর ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।

তিনি লেখেন, "বিজিপি থেকে বেরিয়ে এসে গত লোকসভা নির্বাচনে মাথাভাঙ্গা বিধান সভায় বিজেপিকে পর্যুদস্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল স্বপন বর্মন। রাজ্য নেতৃত্ব তাঁকে জেলা যুব সভাপতি নিযুক্ত করে সম্মানিত করল ।জেলায় বিজেপি থেকে আগত এযাবৎ ১৮৭ জন পঞ্চায়েত সদস্য ,১০ জন পঞ্চায়েত সমিতি ও বহু মোর্চার ও মন্ডলের নেতারা আজ নিশ্চিত হলেন তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সঙ্কটে নয় বরং তারা সঠিক জাগায় আছেন ।তাদের সকলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত।"

তিনি আরোও লেখেন, "জেলা তৃণমূল কংগ্রেস এই সিদ্ধান্তকে আন্তরিক ভাবে স্বাগত জানায়। এর ফলে মাথাভাঙ্গা বিধান সভায় বিজেপি আরও কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়ল।"