Territorial Army: টেরিটোরিয়াল আর্মি কী? যুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীকে কীভাবে সাহায্য করে?


Territorial Army


ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে, সেনাবাহিনী প্রধানকে প্রয়োজনে টেরিটোরিয়াল আর্মির (Territorial Army) সমস্ত অফিসার এবং সৈন্যদের ডাকার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার সেনাপ্রধানকে এই কর্তৃত্ব দিয়েছে। ভারতীয় সামরিক ঘাঁটি এবং সীমান্তবর্তী শহরগুলিতে পাকিস্তান ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ব্যর্থ করার কয়েক ঘন্টা পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।


টেরিটোরিয়াল আর্মি (Territorial Army) কী?

টেরিটোরিয়াল আর্মি (Territorial Army) হল ভারতের একটি রিজার্ভ ফোর্স যা সাধারণ নাগরিকদের নিয়ে গঠিত। তারা সাধারণত দিনে তাদের সেবা প্রদান করে, তবে প্রয়োজনে তারা সেনাবাহিনীর সাথে কাজ করে। সেনাবাহিনীকে সাহায্য করার লক্ষ্যে এটি ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই সেনাবাহিনীর কাজ হলো প্রধান সৈন্যদের বোঝা কমানো এবং জরুরি পরিস্থিতিতে তাদের পাশে দাঁড়ানো। টেরিটোরিয়াল আর্মিতে অফিসার, জুনিয়র কমিশনড অফিসার এবং অন্যান্য সৈন্য থাকে যাদের মূল সেনাবাহিনীর মতো পদমর্যাদা এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

টেরিটোরিয়াল আর্মির (Territorial Army) শক্তি

টেরিটোরিয়াল আর্মির (Territorial Army) ৩২টি পদাতিক ব্যাটালিয়ন এবং অন্যান্য প্রকৌশলী ও বিভাগীয় ইউনিটে প্রায় ৪০,০০০ জন কর্মী কাজ করে। এর মধ্যে রেলওয়ের কর্মচারী, সরকারি দপ্তর, প্রাক্তন সৈনিক এবং বেসরকারি খাতের নাগরিকরা অন্তর্ভুক্ত। এটিকে 'টেরিয়ার্স'ও বলা হয় এবং এর স্লোগান হল 'সাবধানতা এবং সাহসিকতা'। এর সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে একজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদমর্যাদার কর্মকর্তা থাকেন এবং এটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে।


টেরিটোরিয়াল আর্মির প্রধান কাজ

টেরিটোরিয়াল আর্মির (Territorial Army) প্রধান কাজ হল স্থির দায়িত্ব পালন করা যাতে নিয়মিত সেনাবাহিনীকে সামনের সারিতে মোতায়েন করা যায়। কঠিন সময়ে, টেরিটোরিয়াল আর্মিকে সেনাবাহিনীর সাথে সম্পূর্ণরূপে একীভূত করা যেতে পারে। এটি জম্মু ও কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে সহায়তা করে আসছে। এছাড়াও, এটি বন্যা, ভূমিকম্প ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগে বেসামরিক প্রশাসনকে সাহায্য করে।


সেনাবাহিনী কীভাবে সাহায্য পাবে?

এখন সেনাপ্রধান পুরো টেরিটোরিয়াল আর্মি (Territorial Army) মোতায়েনের কর্তৃত্ব পেয়েছেন। এর ফলে সেনাবাহিনী দ্রুত আরও সৈন্য পেতে এবং প্রয়োজনের সময় সাহায্য পেতে সক্ষম হবে। প্রশিক্ষিত বেসামরিক সৈন্যদের সাহায্যে সেনাবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধির এটি একটি সস্তা এবং কার্যকর উপায়। এর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের স্থানীয় জ্ঞান এবং বিশেষ প্রশিক্ষণ রয়েছে। যার কারণে সেনাবাহিনী কৌশলগতভাবেও লাভবান হয়।