নদী বাঁধে ধ্বস, ঘর ছাড়ার আতঙ্কে প্রহর গুনছে এলাকাবাসী

River Dam


হাতেগোনা কদিন আগে গোবর্ধনপুরের রিংবাঁধের সিদ্ধান্ত,তার মধ্যেই নদী বাঁধে ধ্বস,আতঙ্কে চোখের জলে প্রহর গণা শুরু গোবর্ধনপুরের ধ্বস কবলিত এলাকার ৭০ বছরের বৃদ্ধা থেকে এলাকাবাসীর।

চোখের জলে লোটা কম্বল গোছানো শুরু, মুখে শুধু একটাই কথা ঘর ছেড়ে দিলে থাকবো কোথায় কে দেবে তাদের আশ্রয়। ইতিমধ্যে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের জিপ্লট গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবর্ধনপুর এলাকা বারবার নদীবাঁধ ধ্বসের কবলে পড়েছে, প্রশাসন থেকে সাত থেকে আট বার তৈরি করা হয়েছে রিংবাঁধ,তৈরি হয়েছিল প্রায় কোটি টাকা খরচা করে কংক্রিট ঢালাই আইলাবাঁধ।

কিন্তু আইলাবাঁধ শুরু আর শেষ, কয়েক মাসের ব্যবধানে এর মধ্যে প্রাকৃতিক বিপর্যয় সমস্ত বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হয়েছিল গত বছর, প্রায় চার থেকে পাঁচ মাস এলাকার বাসিকে কাদা এবং জলে বসবাস করতে হয়েছে।

তার মধ্যে তৈরি হয় আবার একটি রিং বাঁধ,ঢেকে দেওয়া হয় জিও চট দিয়ে ঢেউ এবং ধ্বসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য,কিন্তু সে প্রযুক্তি ও কাজে লাগেনি। ইতিমধ্যে আবারো ধ্বস দেখা দিয়েছে।আগামী অমাবস্যা কটালে হয়তো এলাকায় প্লাবিত হবে। বঙ্গোপসাগরের ঢেউ আছড়ে পড়ছে কুলে প্রতি মুহূর্তে একটু একটু করে বাঁধের মাটি চলে যাচ্ছে সমুদ্রের গর্ভে।

এলাকাবাসীর কথা চিন্তা করে বিধায়ক সমীর কুমার জানার নেতৃত্বে গত তিন দিন আগে প্রশাসনিক বৈঠক করে রিং বাঁধ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়, তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে, তার মধ্যেই আবারো ধ্বস ইতিমধ্যে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকার মানুষজন। এলাকার মানুষের দাবী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করলেই তারা এই এলাকা ছেড়ে যাবে না।মহিলাদের দাবি নিম্নমানের কাজের জন্যই এই নদী বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে বার বার, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রকৃত কাজ করলে এই ক্ষতি হতো না এলাকায়। এখন দেখার এই বিপর্যয় থেকেই এলাকার মানুষকে রক্ষা করতে পারে কি না প্রশাসন।