২১ জন শিক্ষিকার চাকরি বাতিল, অনিশ্চয়তায় মুখের স্কুলের ভবিষ্যৎ
ভগবানগোলা, বৃহস্পতিবার:
সুপ্রিম কোর্টের চাকরি বাতিল রায়ের ফলে ভগবানগোলা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ২১ জন শিক্ষিকার চাকরি চলে যাওয়ায় চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে বিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার এসএসসি ২০১৬-র পুরো প্যানেল বাতিল করে শীর্ষ আদালত এর পরেই স্কুলে নেমে আসে চরম হতাশা ও শোকের ছায়া। বিদ্যালয়ের ৬২ জন শিক্ষিকার মধ্যে ২১ জনের চাকরি হারানোর ফলে প্রশাসনিক ও শিক্ষাগত কার্যক্রম সমস্যায় পড়েছে।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন, "আগামীকাল থেকেই স্কুলে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়বে। প্রায় চার হাজার ছাত্রী অধ্যয়নরত এই স্কুল চালানো এখন অত্যন্ত দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।"
এদিন স্কুলের সামনে চাকরি হারানো শিক্ষিকারা রাস্তায় বসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দারাও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অভিভাবকদেরও প্রশ্ন, এই সংকটের সমাধান না হলে তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ কী হবে?
বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও অভিভাবক জানিয়েছেন, "স্কুলের এত বড় সংখ্যক শিক্ষিকা চলে গেলে শিক্ষার মান ও কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। যদি দ্রুত সমাধান না আসে, তাহলে স্কুল চালানো অসম্ভব হয়ে উঠবে।"
প্রসঙ্গত স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দেশের শীর্ষ আদালত ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল। দীর্ঘদিন ধরে এই মামলার শুনানি চলছে। শেষমেষ রায় ঘোষনা করে শীর্ষ আদালত। রায়ে আদালত এই নিয়োগের কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই বলেই জানায়। আর তাই পুরো প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেয় আদালত। প্যানেলের বাতিলের সাথে সাথে ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়ে গেল।
রাজ্যের ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছে, তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা বাদ যাবেন তাঁদের বেতন দিতে হবে। রায়ে বলা হয়েছে, যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব হয়নি। ২০১৬ সালের এসএসসিতে যাঁরা চাকরি করছিলেন তাঁরা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ্যতা পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊