'SSC অফিস বাংলার কোন কাজে লেগেছে ! ওটাকে বায়ো টয়লেট বানিয়ে দেওয়াই উচিৎ' -সজল ঘোষ 

'SSC অফিস বাংলার কোন কাজে লেগেছে ! ওটাকে বায়ো টয়লেট বানিয়ে দেওয়াই উচিৎ' -সজল ঘোষ



SSC অফিসে আন্দোলনরত চাকরিহারাদের জলের ব্যবস্থা করতে পৌঁছে যান সজল ঘোষ। তিনি জানান, আমি কিছু পুলিশদেরও জন্য জল এনেছি, বেচারারা জল পায়না, ডিএ পায়না, লাঠি মারবে কি করে !'

এদিন তিনি জানান, আমি রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠে আজ জল এনেছি। বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। এটা আপাতত মহিলারা ব্যবহার করবে।

বাকিদের উদ্দেশ্যে তিনি জানান, SSC ভবনের সামনে গিয়ে টয়লেট করুন, বা ওটাকেই টয়লেট বানিয়ে দিন। SSC ভবন আমার কোন কাজে লেগেছে! বাংলার মানুষের কোন কাজে লেগেছে! ওটাকে বায়ো টয়লেট বানিয়ে দেওয়ায় উচিৎ ।

গতকাল রাতে চাকরিহারারা SSC ভবন ঘেরাও এর সিদ্ধান্ত নেয়, ভবনের সামনে হাজার হাজার চাকরিহারা জল, খাবার, এমনকি টয়লেটের মতন অতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থেকেও বঞ্চিত ছিল। SSC ভবনের টয়লেট বন্ধ করে দেওয়া হয় ব্যবহারের জন্য ,এমনটাই অভিযোগ আন্দলনকারিদের। এমনকি SSC ভবন থেকে জলের পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমন অবস্থায় SSC ভবন থেকে খাবার অর্ডার করে হলে, সেই খাবার ভেতরে ঢুকতে দেয়নি আন্দোলনকারীরা।

এদিন চাকরিহারাদের আন্দলনকে সমর্থন জানিয়ে সেখানে রাত্রে উপস্থিত হন জুনিয়ার ডাক্তারদের জয়েন্ট ফোরাম। একইভাবে উপস্থিত হয়েছিলেন সজল ঘোষও । তবে বিজেপি নেতা এদিন এদিন দাবী করেন, তিনি কোন রাজনৈতিক পরিচয়ে এখানে উপস্থিত হননি।

প্রসঙ্গত, সারা রাত ধরে তাঁরা এসএসসি ভবনের বাইরে অবস্থান-বিক্ষোভ চালিয়ে গেলেন চাকরি হারা শিক্ষক শিক্ষিকারা। মঙ্গলবার সকালেও এসএসসি অফিস ‘ঘেরাও’ করে রেখে দিয়েছেন তাঁরা।
আন্দোলনকারী এক শিক্ষক জানান, যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করা না-হলে অযোগ্যদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। মঙ্গলবারই এই বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ওই আলোচনার পরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে চান তাঁরা। অপর এক আন্দোলনকারী জানান, “আমরা কেউ শুয়ে থাকিনি। রাস্তায় বসে ছিলাম। পাহারা দিচ্ছিলাম যাতে এসএসসি চেয়ারম্যান বেরিয়ে যেতে না পারেন।”

এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের পাশাপাশি কমিশনের অন্য কর্মী এবং আধিকারিকেরাও আটকে রয়েছেন আচার্য সদনে। সূত্রের খবর, ১২ জন পুরুষ কর্মী এবং চার জন মহিলা কর্মী আটকে রয়েছেন কমিশনের দফতরে। মঙ্গলবার সকালে এক ব্যক্তি চা নিয়ে এসএসসি ভবনের ভিতরে প্রবেশ করতে গেলে তাঁকে বাধা দেন আন্দোলনকারী শিক্ষকদের একাংশ।

কথা ছিল সোমবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ‘যোগ্য-অযোগ্য’ তালিকা প্রকাশ করবে (এসএসসি)। কিন্তু তা হয়নি। সোমবার বেশি রাতে একটি বিবৃতি দেয় কমিশন। সেখানেও তালিকার বিষয়ে কিছু উল্লেখ ছিল না। এই অবস্থায় দাবিপূরণ না-হওয়া পর্যন্ত এসএসসি ভবনের বাইরে অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

এদিকে 'সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই চলবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এব্যাপারে অবস্থান স্পষ্ট জানানো হয়েছে। যাঁরা ক্লাস নিচ্ছেন, সেই শিক্ষকদের নিয়ম অনুযায়ী বেতন দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে নিয়মমতোই শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হবে', চাকরিহারাদের বিক্ষোভের মধ্যেই মধ্যরাতে বিবৃতি কমিশনের।