Pahalgam Terror Attack: এখনো পর্যন্ত ২৬ জন নিহত এবং প্রায় ২০ জন আহত
মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় সন্ত্রাসীরা নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করেছিল। এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবরে মোট ২৬ জন নিহত এবং প্রায় ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হামলায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাইসারান তৃণভূমির কাছে এই আক্রমণটি ঘটে। সন্ত্রাসী সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। টিআরএফ সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার একটি সহযোগী সংগঠন। পাকিস্তানে অবস্থিত শেখ সাজ্জাদ গুল টিআরএফের প্রধান।
টিআরএফের গল্প শুরু হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে পুলওয়ামা হামলার মাধ্যমে। বলা হয় যে, এই হামলার আগেই এই সন্ত্রাসী সংগঠনটি উপত্যকার ভেতরে তাদের শেকড় বিস্তার শুরু করে। ধীরে ধীরে, এই সংগঠনটি তার শক্তি বৃদ্ধি করতে শুরু করে এবং এটি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সাথে সাথে পাকিস্তান-সমর্থিত কিছু সন্ত্রাসী সংগঠনের সমর্থন পায়। ৫ আগস্ট, ২০১৯ তারিখে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অপসারণের সাথে সাথেই এই সংগঠনটি সমগ্র কাশ্মীরে সক্রিয় হয়ে ওঠে।
টিআরএফ-এর উত্থানের আসল গল্পটি পাকিস্তান থেকে শুরু হয়। উপত্যকায় ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসী ঘটনাগুলির সাথে সাথে, পাকিস্তানের লুকানো মুখ বিশ্বের সামনে উন্মোচিত হতে শুরু করে। ধীরে ধীরে, পাকিস্তানের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে থাকে যে তারা তাদের দেশে সক্রিয় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পাকিস্তান বুঝতে পেরেছিল যে এখন লস্কর-ই-তৈয়বা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের মতো সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে, কিন্তু তারা ভয় পেয়েছিল যে এর ফলে তারা কাশ্মীরে তার ভিত্তি হারাতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং লস্কর-ই-তৈয়বা একসাথে একটি নতুন সন্ত্রাসী সংগঠন 'দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট'-এর ভিত্তি স্থাপন করে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊