ট্রান্সফর্মারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বিদ্যুৎ কর্মীর, শোকের ছায়া গোটা এলাকায়

ট্রান্সফর্মারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বিদ্যুৎ কর্মীর, শোকের ছায়া গোটা এলাকায়



বিদ্যুৎ সংক্রান্ত কাজ করতে গিয়ে ট্রান্সফরমারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃত্যু হল এক যুবকের। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে আজ শীতলকুচির লালবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব বারোমাসিয়া গ্রামে। মৃত যুবকের নাম মৃনাল বর্মন (বয়স ৩২)। সে শীতলকুচির ছোটো গদাইখরা খেজুরেরতল এলাকার বাসিন্দা।

বিবাহিত মৃনাল বর্মনের পাঁচ বছরের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে। সে শীতলকুচি বিদ্যুৎ অফিসের এক ঠিকাদারের অধীনে কাজ করত বলে জানা গেছে, এবং দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুতের কাজ করেই সে নিজের জীবিকা নির্বাহ করত ও সংসার চালাতো।‌ আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ বিদ্যুৎ সংক্রান্ত কাজ করতে এসে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব বারোমাসিয়া গ্রামের কোনো বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ চলাকালীন ট্রান্সফরমারে কাজ করতে ওঠেন মৃনাল। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্থানীয়রা দেখতে পান, ট্রান্সফরমারে ঝুলছে তার নিথর দেহ। এরপর বিদ্যুৎ দপ্তরে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় শীতলকুচি থানার পুলিশ। পরবর্তীতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তাকে নামানোর ব্যবস্থা করা হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।

এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, ওই ট্রান্সফরমারটি দীর্ঘদিন ধরে খারাপ ছিল। তিন ফেজের মধ্যে একটি ফেজে বিদ্যুৎ বন্ধ না হওয়ার সমস্যার কথা বহুবার জানানো হলেও বিদ্যুৎ দফতর কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল্লাহ মিঞা বলেন, “আমরা বহুবার বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ জানিয়েছি, কিন্তু কেউ কিছু করেনি। আজ তার মাশুল দিতে হল মৃনালকে।”

ছাট বারোমাসিয়ার কুতুব মিঞার কথায়, “সঠিক সময়ে যদি ট্রান্সফরমারের সমস্যা মেরামত করা হতো, তাহলে এই মৃত্যু এড়ানো যেত।”

এই দুর্ঘটনার পর শোকস্তব্ধ মৃনালের পরিবার। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত হোক এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।