চুলকানির আতঙ্ক, নিগমনগর জুড়ে অস্বস্তিতে জনসাধারণ
বেসিক ট্রেনিং কলেজের গাছ থেকে ছড়াচ্ছে চুলকানির রোম। অ্যালার্জি ট্যাবলেটই ভরসা! নিগমনগরে ত্বকের অসুখে বিপর্যস্ত মানুষ।
দিনের আলো হোক বা রাতের অন্ধকার—নিগমনগরের বাসিন্দাদের স্বস্তি নেই। চুলকানির যন্ত্রণায় ছোট-বড় সবাই অতিষ্ঠ। পরিস্থিতি এমন যে, ঘর থেকে বের হওয়া দায় হয়ে পড়েছে, দরজা-জানালা বন্ধ রেখেও রেহাই নেই। সমস্যা এতটাই ভয়াবহ যে, কেউ কেউ রাতে ঘুমানোর আগে অ্যালার্জির ওষুধ খেয়ে শুতে বাধ্য হচ্ছেন।
এমন ঘটনা নতুন নয়। কয়েক বছর আগে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা শহরেও ঠিক এমনই এক ‘চুলকানির গাছের’ আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। সেখানেও বাতাসে ভেসে আসা এক বিশেষ গাছের রোমের কারণে বাসিন্দারা অসহনীয় চুলকানির শিকার হয়েছিলেন। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সেই গাছ কেটে ফেলা হয় এবং সমস্যার সমাধান হয়।
এলাকাবাসীর দাবি, সমস্যার মূল কারণ নিগমনগর বেসিক ট্রেনিং কলেজের একটি গাছ। গাছটিতে জন্মানো বিশেষ এক ধরনের ফলের গায়ে সূক্ষ্ম রোম রয়েছে, যা বাতাসে ছড়িয়ে ত্বকের সংস্পর্শে এলেই শুরু হয় তীব্র চুলকানি। কেউ কেউ বলছেন, দীর্ঘক্ষণ আক্রান্ত স্থানে চুলকানি হলে লালচে দাগ ও জ্বালাপোড়া শুরু হয়।
বাড়ির বাইরে জামাকাপড় শুকানো দুষ্কর হয়ে পড়েছে, জানালা-দরজা বন্ধ রেখেও মিলছে না স্বস্তি। বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, একাধিকবার কলেজ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় পঞ্চায়েতকে জানানো হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এক বাসিন্দা বলেন, "প্রতিদিন এই সমস্যার মুখে পড়ছি। কলেজকে জানিয়েছি, পঞ্চায়েতকে জানিয়েছি—কিন্তু কেউ কিছু করছে না। আমরা আর কতদিন এমন দুর্ভোগে থাকব?"
এলাকাবাসীরা এখন প্রশাসন ও বন দপ্তরের হস্তক্ষেপ দাবি করছেন। তারা চান, গাছটি কেটে ফেলা হোক বা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক, যাতে এই চুলকানির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
তবে প্রশাসন এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। বাসিন্দাদের প্রশ্ন, “কবে মিলবে স্বস্তি?”
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊