তিস্তা পাড় থেকে মুখ ফিরিয়েছে পরিযায়ী পাখির দল, পুরোনো স্মৃতি হাতড়ে বেড়ায় তিস্তাপাড়ের মানুষেরা
তিস্তা পাড়ে দেখা মিলছে না পরিয়াযী পাখিদের, কারণ হিসেবে সামনে আসছে দখল হয়ে যাওয়া নদীর চরে চাষবাসের জমিতে অতি মাত্রায় রাসায়নিক সার এবং বিভিন্ন কীটনাশকের যথেচ্ছ ব্যবহার, এবং ২৩ সালে উত্তর সিকিমের প্রাকৃতিক বিপর্যয়।
জমিতে অতি মাত্রায় রাসায়নিক পদার্থ এবং কীট পতঙ্গের বংশ ধংস করতে ব্যাবহার করা বিষাক্ত পদার্থ পরিযায়ী পক্ষী কুলের প্রজননের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেই বিশেষজ্ঞ মহলের পরীক্ষা নিরিক্ষা থেকে জানা গিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের অভিমত যে ভ্রান্ত নয় তার জ্বলন্ত উদাহরণ দোমোহনী থেকে জলপাইগুড়ি শহর ঘেঁষা জুবলী পার্ক সংলগ্ন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
ঘটনা প্রসঙ্গে তিস্তা পাড়ের দোমোহনী গ্রামের বাসিন্ধা শ্যামল দাস আক্ষেপের সুরে বলেন, আগে ভোর হতেই পাখির ডাকে ঘুম ভাঙত, আজ আর সেই দিন নেই, সামনের বিশালাকার জলাশয় দেখিয়ে শ্যামল দাস বলেন, আগে এই জলে দেশী বিদেশী পাখিদের দল ভেসে বেড়াতো আজ ফাঁকা।
কারন জমিতে চাষাবাদ করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে রাসায়নিক সার,পাখিরা এতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাই আর আসে না।
অপরদিকে বিশিষ্ট পরিবেশ কর্মী ড: রাজা রাউত এই প্রসঙ্গে বলেন, দুটি প্রধান কারনে আজ পরিযায়ী পাখির দল তিস্তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
এক দুবছর আগে সিকিমের প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারনে তিস্তা নদীতে অতিমাত্রায় বালি, বর্জ্য ভেসে এসেছিলো, যে কারনে তিস্তা নদীর রূপ বদলেছে, বেস কিছু স্থানে চড়া পরে যাওয়ায় জল নেই, আর জল না থাকার কারণে সেই স্থানে ছোটো মাছ , পোকামাকড় ও নেই, যে গুলো পরিযায়ী পাখিদের প্রধান খাদ্য।
দ্বিতীয় কারন তিস্তা নদীর চড়া পরা জায়গা গুলো আজ শহরের জলাভূমির মতো দখল হয়ে যাচ্ছে, সেখানে চাষাবাদ করার জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হচ্ছে।
সেই রাসায়নিক সারের কারনে নদীর জল বিষাক্ত যেমন হচ্ছে পাশাপাশি জীববৈচিত্র সম্পূর্ণ ভাবে বদলে গিয়েছে।
তিস্তার পার্শ্ববর্তী দোমনীর এলাকায় এক সময় কথা উঠেছিল বাম আমলে থেকে সেখানে পক্ষীরালয় তৈরি হবে কিন্তু সেখানে এখন বর্তমানে পাখিরই দেখা মিলছে না। হতাশ সাধারণ মানুষ থেকে সেখানকার বাসিন্দারা।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊