মকর সংক্রান্তির পূর্ণ লগ্নে গঙ্গাসাগরে পুণ্যের ডুব দিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার

Sukanta Majumder



গঙ্গাসাগর: 

মকর সংক্রান্তির পূর্ণ লগ্নে মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গায় ডুব দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন সাগর তটে এক নম্বর স্নান ঘাটে তিনি পায়ে হেঁটে বাঙালি সাজে ধুতি পরে তার সাথে বেশ কিছু দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে স্নান করেন। স্নান করার পর বেশ কিছুক্ষণ ধামসা বাজাতে দেখা যায় তাকে। 


সমুদ্রের তটে এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন গঙ্গাসাগরে মূল রাস্তার উপরে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর ছবি দিয়ে একটি তোরন লাগানো হবে বলে স্থানীয় বিডিও অফিসে একটি অনুমতি পত্র জমা দিয়েছিল কিন্তু তা স্থানীয় বিডিও তার অনুমতি দেয়নি। এর পাশাপাশি তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে কটাক্ষ করেন গঙ্গাসাগরে আসা সমস্ত রাস্তার দুই ধারে উনার ছবি টাঙানো আছে। এবং তার ফাঁকে ফাঁকে ফাঁকি মারছে তার ভাইপো। 


এর পাশাপাশি তিনি আরো বলেন যে মেলাতে প্রধানমন্ত্রী ছবির ঠাঁই নেই সেই মেলাতে চল্লিশ কোটি পূর্ণার্থী আসলেও কিভাবে আন্তর্জাতিক মেলার স্বীকৃতি পাবে।সুকান্ত মজুমদার বলেন,গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে সাহায্য পেতে গেলে তো প্রধানমন্ত্রীকে বলতে হবে। তাঁকে উদ্বোধনে ডাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর দু-চারটে ছবিও পেতে হবে। গোটা মেলা প্রাঙ্গন দেখে তো মনে হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া আর কেউ নেই। পুলিশ মাইকিং করছে, যে সরকার নির্ধারিত ভাড়া দিয়ে আসবেন। কিন্তু সরকারি নির্ধারিত ভাড়া কী, রেট চার্ট কত, তা তো কেউ জানেন না। পুণ্যার্থীদের কাছ থেকে যে যেরকম পাচ্ছেন লুটে নিচ্ছেন।তিনি প্রশ্ন তোলেন, গঙ্গাসাগরে হেলিকপ্টার সার্ভিসটা কোথায় চলে? ১৯ কোটি টাকা কোথায় যায়, সেটার কোনও খোঁজ পাওয়া যায় না। ড্রেজিং করাতে ৩০ করানো হয় বলে রাজ্য সরকার দাবি করে। সুকান্তর প্রশ্ন, দু’মাস পরই ড্রেজিংয়ের কী অবস্থা দেখবেন। ড্রেজিং না করে ভেসেল পার করা যাবে না।