নবান্নের দোরগোড়ায় শুরু সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তিনদিন ব্যাপী টানা ধর্ণা ও অবস্থান কর্মসূচী

three-day continuous dharna and sit-in program




গৌতম সাহা, কলকাতা:  শহিদ মিনারের পাদদেশে দীর্ঘ ২ বছর ধারাবাহিক অবস্থান উপলক্ষে, AICPI অনুযায়ী প্রাপ্য দিন থেকে সকল বকেয়া D.A প্রদান, সরকারী প্রতিষ্ঠানে ৬ লক্ষ শূন্যপদে স্বচ্ছ ও স্থায়ী নিয়োগ, যোগ্য অনিয়মিতদের নিয়মিতকরণ, ডিটেলমেন্ট /প্রতিহিংসা মূলক বদলি প্রত্যাহারের দাবীতে ২২,২৩ ও ২৪ শে ডিসেম্বর,২০২৪ অর্থ্যাৎ আজ থেকে টানা তিন দিন ব্যাপী অবস্থান ও ধর্ণা কর্মসূচী নাবান্নের দোরগোড়ায় মন্দিরতলা বাসস্টান্ডে শুরু হলো। আজ থেকে তিনদিন সারা দিনরাত ব্যাপী অবস্থান কর্মসূচী চলবে বলে জানালেন আন্দোলনকারীরা।

সভার শুরুতেই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ আজ থেকে চলা তিনদিন ব্যাপী অবস্থান ও ধর্ণা কর্মসূচীর প্রাসঙগিকতা উপস্থাপন করেন। তিনি দীপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেন বলা বাহুল্য স্মরণ করে দেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধী নেত্রী থাকার সময় তারই সেই বক্তব্য কে এবং সেটি হলো "যে সরকার কর্মীদের ডি.এ দিতে পারেনা তার ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নেই"।

three-day continuous dharna and sit-in program

প্রসঙগত উল্লেখযোগ্য বিগত ২০১১ সাল থেকেই এই বঞ্চনা চলে আসছে। কয়েকটি তথ্য ও পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে তিন বছরে সরকার লক্ষ্মীর ভান্ডারে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। সুপ্রিমকোর্টে সরকার ডি.এ মামলার প্রেক্ষিতে জানিয়ে ছিলেন যে বকেয়া ডিএ দিতে হলে প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে৷ অথচ এই বকেয়া ডি.এ হলো কর্মচারিদের হকের পাওনা৷ তা না দিয়ে সরকার এই ডি.এ'র টাকায় লক্ষ্মী ভান্ডার সহ খেলা মেলায় খরচ করছেন৷ এমনই আভিযোগ করলেন আন্দোলনকারীদের।

আগামী ৭ই জানুয়ারি সুপ্রিমকোর্টে ডিএ মামলা৷ সেই মামলাটির দিকে তাকিয়ে গোটা রাজ্যের শিক্ষক, ডাক্তার, নার্স, অধ্যাপক, গ্রন্থাগারিক, পঞ্চায়েত কর্মী, করপোরেশন কর্মীসহ সমগ্র কর্মচারী মহল এবং পেনশনভোগীরা। শুধু তাই নয় এই রায়ের দিকে তাকিয়ে থাকবে অন্যান্য রাজ্যের কর্মীমহলও। কারণ একটা রাজ্যের সরকার যখন হাইকোর্টের দুটি রায়ের পরও

তাদের কর্মীদের নায্য ডি.এ থেকে বঞ্চিত করতে চায় সেখানে অন্যান্য রাজ্যও সেই পথে হাঁটবে না তো? এরকম প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে দেশের সমগ্র সংশ্লিষ্ট কর্মীমহলে।