Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে বড় পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের

শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে বড় পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের

শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে বড় পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের



শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নিয়ে এলো পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্য সরকার সামাজিক সুরক্ষা একাউন্টে প্রতি মাসে 55 টাকা করে জমা দেবে, ষাট বছরের পরে সেই টাকা ফেরত পাবেন শ্রমিকরা।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী এবং জলপাইগুড়ি জেলা শ্রম দপ্তরের উদ্যোগে এবং মালবাজার এসিস্ট্যান্ট লেবার কমিশনারের সহায়তায় চা বাগানের পরিবারের যে সমস্ত শ্রমিক পার্মানেন্ট লেবার নন তাদের এই আওতায় আনতে চলেছেন বিশেষ শিবির। সেইমতো মালবাজার অ্যাসিস্ট্যান্ট লেবার কমিশনারের উদ্যোগে ক্রান্তি ব্লকের যোগেশচন্দ্র চা বাগান এবং কৈলাসপুর চা বাগানে দুটি ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হলো।

এই বিষয়ে মালবাজার অ্যাসিস্ট্যান্ট লেবার কমিশনার শুভ্রজ্যোতি সরকার জানিয়েছেন, মাল আর, এল, ও অধীন প্রতিটি চা বাগানের যারা পার্মানেন্ট শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন না তাদের এই সামাজিক সুরক্ষায় আওতায় আনার বিষযে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সেই মতো ক্রান্তি ব্লকের যোগেশ চন্দ্র চা বাগান এবং কৈলাসপুর চা বাগানে আজকের বিশেষ শিবির অনুষ্ঠিত হলো।

এই প্রকল্প অনুযায়ী ১৮ বছরের কেউ যদি এ প্রকল্পের অধীনে নিজের নাম নথিভুক্ত করেন তাহলে তিনি 60 বছর বয়সে আড়াই লক্ষ টাকার উপরে পাবেন। এই প্রকল্পের অধীনে যারা রয়েছে তাদের অবসরের আগে যদি মৃত্যু হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট পরিবার এককালীন নমিনিকে 50 হাজার টাকা দুর্ঘটনা জনিত মৃত্যুতে 2 লক্ষ টাকা পর্যন্ত সহায়তা পাবেন। এছাড়াও ষাট বছর হয়ে গেলে কমপক্ষে পাঁচ বছর বইটি চালাতে পারলে পেনশনের আওতায় ওই শ্রমিক আসবেন বলে অ্যাসিস্ট্যান্ট লেবার কমিশনার জানিয়েছেন।

যোগেশ চন্দ্র চা বাগানে ২৫৫ এবং কৈলাস পুর চা বাগানে ১৭৫ টি আবেদনের পত্র, আধার কার্ড জেরক্স জমা নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

এদিনের এই কর্মসূচি যোগেশচন্দ্র চা বাগানে অ্যাসিস্ট্যান্ট লেবার কমিশনার শুভ্রজ্যোতি সরকার ছাড়া উপস্থিত ছিলেন, মাল ও ক্রান্তি মিনিমাম ওয়েজেস ইন্সপেক্টর বিদ্যুৎ কর্মকার, সি কে সি ও নীলাদ্রি ঘোষ, পঞ্চায়েত সদস্য মুক্তি সরেন, সতীশ মিনজ সমাজসেবী সজল ঘোষ, কৈলাসপুর, উপস্থিত ছিলেন, রাজাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জয় ওরাও, উপপ্রধান মিন্টু রায়, পঞ্চায়েত সদস্য রামু ওরাও, সমাজসেবী জীবন কুজুর প্রমূখ। শ্রমিকদের মধ্যে নাম নথিভুক্ত করতে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো এবং মালবাজার শ্রম দপ্তরের এই উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code