শীতকালিন অধিবেশনকে পাখির চোখ করে দাবী আদায়ের লক্ষ্যে রাজ্যের আংশিক সময়ের শিক্ষকরা 

Part-time teachers in the state aim to gain a bird's-eye view of the winter session



দীর্ঘদিন ঠিকমত এস এস সি না হওয়ার কারণে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন স্বাভাবিক রাখার জন্য আংশিক সময়ের শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। আংশিক সময়ের শিক্ষকদের বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়োগ করেন এবং স্কুল ফান্ড থেকে তাদের সামান্য বেতন ১০০০ থেকে মাসিক ৩০০০ টাকা পর্যন্ত বেতন দেওয়া হয়।

একইভাবে রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে আংশিক সময়ের অধ্যাপক নিযুক্ত হয়েছিলেন যাদের সরকার স্থায়ীকরণ করেছেন এবং তাদের বাঁচার মতো একটা বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এতে উৎসাহিত হয়ে রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের শিক্ষকগণ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে বারবার স্থায়ীকরণের আবেদন করেছেন। তারা ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কর্মের সুনিশ্চয়তা এবং সরকার কর্তৃক বাঁচার মতো একটা বেতন দেওয়ার আবেদন করেছেন।

নবান্ন, কালীঘাট, বিকাশ ভবন সমস্ত জায়গায় তারা আবেদন করেছেন। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী ফোন নাম্বার চালু হওয়ার পর সমস্ত শিক্ষক তাতে ফোন করে তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সমস্যার কোন সমাধান হয়নি। তাই আজ পার্ট টাইম টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পুরুলিয়া জেলার বান্দোয়ান বিধানসভার বিধায়ক রাজীব লোচন সরেণকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিধায়ক বিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের শিক্ষকদের সবরকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন এবং স্কুলে কোনরকম সমস্যা হলে তিনি পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়াও বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে বিদ্যালয় আংশিক সময়ের শিক্ষকদের দুরবস্থার কথা তুলে ধরবেন বলে কথা দিয়েছেন।

এছাড়া রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র এবং মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরীকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্মারকলিপি দেওয়া হয় জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি বিধানসভার বিধায়ক ডক্টর নির্মল চন্দ্র রায়, কাটোয়া বিধানসভার বিধায়ক ও পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাপতি রবীন্দ্র নাথ চ্যাটার্জীকেও।

সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- সকল এম এল এ এবং মন্ত্রী বিদ্যালয় আংশিক সময়ের শিক্ষকদের সমস্যাটি মন দিয়ে শোনেন এবং এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

এককথায় এবার শীতকালীন অধিবেশনে নিজেদের দাবী আদায়ের জন্য কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন রাজ্যের আংশিক সময়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। স্থায়ীকরন এবং বেতন বৃদ্ধির দাবী নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য এখন সেটাই দেখার।