Mamata Banerjee: 'মানুষের স্বার্থে আমি পদত্যাগ করতে রাজি': মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Mamata banerjee


আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল রাজ্যে মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছিল রাজনীতির একাংশ। মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যু ও ধর্ষন কাণ্ডের জের নবান্নের সামনে জুনিয়ার ডাক্তাররা। দিকে দিকে যখন আরজি কর কাণ্ডের দোষীদের শাস্তির দাবি উঠছে। জুনিয়র ডাক্তাররা যখন নবান্নের নীচে অপেক্ষমান এই পরিস্থিতিতে, সেই নিয়ে এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, "মানুষের স্বার্থে আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি, আমি পদ চাই না।" মমতা আরও জানিয়েছেন, আন্দোলনে জন্ম তাঁর। তাই জুনিয়র ডাক্তার বা অন্যদের আন্দোলন তিনি আটকাবেন না। তিনি দানবিকতায় নয়, মানবিকতায় বিশ্বাসী।

মমতা এদিন বলেন, "প্রথম দিন থেকেই চেষ্টা করছি আমরা। আমাকে অনেক অসম্মান করা হয়েছে, আমাদের সরকারকে অসম্মান, অপমান করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কুৎসা, অপপ্রচার হয়েছে। মানুষ কলকাতায় এসেছিলেন আন্দোলনে, ওঁরা জানতেন না এর মধ্যে রং রয়েছে। আশাকরি মানুষ বুঝতে পারছেন, ওরা বিচার চায় না, ওরা চায় চেয়ার। আমি মানুষের স্বার্থে পদত্যাগ করতেও রাজি আছি। আমার মুখ্যমন্ত্রীর পদ চাই না। আমি চাই, মানুষ বিচার পান, তিলোত্তমা বিচার পান, আর সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পান।"

মমতা বলেন, "আমি কালও বসেছিলাম। এলেই চলে আসতাম। আমি ঔদ্ধত্য, অহঙ্কার হিসেবে দেখি না এটাকে। বড়রা ছোটদের ভালবাসে। আমি জানি সিনিয়র ডাক্তার কষ্ট করে কাজ করছেন। তাঁদের অভিনন্দন রইল। বাংলরা মানুষের আবেগের কাছে বলব, আমি ক্ষমা চাইছি। আপনারাও আশায় ছিলেন আজ সমাধান হয়ে যাবে। আমি দুই ঘণ্টা বসে আছি, তিন দিন ধরে বসে আছি। যাঁদের বিরুদ্ধে ওরা অভিযোগ করছে, তাঁদের অনেকেই হয়ত একমাস আগে জয়েন করেছে। অনেককে বৈঠকেও রাখিনি। তার পরও বৈঠক ডেকে, আসবেন বলেও, নবান্নের গেট থেকে যাঁরা এলেন না, আমি ক্ষমা করে দিলাম। অনুরোধ করছি, কাজে যোগ দিন। আর্ত রোগীদের বাঁচান। আর কোনও মৃত্যু যেন না হয় বাংলায়।"

জুনিয়ার ডাক্তাররা বসতে চাইলে তিনি রাজি আছেন বলেও জানান। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে কাজে না ফেরা নিয়েও ক্ষমা চান মমতা। কাজে ফেরা উচিত জুনিয়র চিকিৎসকদের বলেই তিনি মনে করছেন বলে জানান। শাসক হিসেবে কখনও কখনও সরকারকেও অনেক ধৈর্য ধরতে হয়, সহ্য করতে হয় বলে জানান মমতা।