R G Kar এ চিকিৎসক খুনের প্রতিবাদে দিল্লীতেও বন্ধ চিকিৎসা পরিষেবা 

doctors protest
photo credit: the hindu



কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসক খুনের প্রতিবাদে সোমবার রাজধানীর সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা বন্ধ থাকবে। সফদরজং, ডাঃ রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল, লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতাল, মেডিকেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতাল, ইনস্টিটিউট অফ হিউম্যান বিহেভিয়ার অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সেস (আইবিএইচএএস), মাওলানা আজাদ মেডিকেল কলেজ এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল (আইবিএইচএএস), লোকনায়ক ও অন্যান্য হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসকরা) চিকিৎসা সেবা থেকে বিরত থাকবেন।


রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন বলছে, শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা পাওয়া যাবে। ওপিডি, ইলেকটিভ সার্জারি, ওয়ার্ড সার্ভিস, ল্যাব টেস্ট এবং অন্যান্য কাজে ডাক্তাররা সাহায্য করবে না। কলকাতায় প্রাণ হারানো চিকিৎসকের বিচার না হওয়া পর্যন্ত সারাদেশে পরিষেবা বন্ধ থাকবে।


একইসঙ্গে ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সর্বেশ পান্ডে বলেন, দ্রুত বিচার হোক। এ ঘটনার বিরুদ্ধে সারাদেশের চিকিৎসকরা ঐক্যবদ্ধ। শনিবার, আরএমএল সহ অন্যান্য হাসপাতালের আরডিএগুলি মোমবাতি মিছিল করেছে। এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি সারাদেশে চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি উঠেছে।


সফদরজং, ডাঃ রাম মনোহর লোহিয়া, লেডি হার্ডিঞ্জ এবং অন্যান্য সরকারী হাসপাতালে প্রতিদিন 35 হাজারেরও বেশি রোগী দিল্লি এবং আশেপাশের রাজ্যগুলি থেকে আগত 35 হাজারেরও বেশি রোগী চিকিত্সা পান । আবাসিক চিকিৎসক সমিতির অসহযোগিতার সিদ্ধান্তের পর রোগীরা চরম বিপাকে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


তবে প্রশাসনের দাবি, এই সময়ের মধ্যে সিনিয়র চিকিৎসক ও অন্যরা চিকিৎসা দেবেন। অথচ চিকিৎসকরা বলছেন, মূলত আবাসিক চিকিৎসকরাই রোগীদের চিকিৎসা করেন। এমতাবস্থায় তাদের অসহযোগিতা রোগীদের অনেক কষ্টে ফেলতে পারে।




প্রসঙ্গত চিকিৎসকরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন, হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপদ পরিবেশ দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। সফদরজং হাসপাতালে প্রায় দুই হাজার আবাসিক চিকিৎসক রয়েছেন। সবাই অসহযোগিতায় সমর্থন দেবে। প্রায়ই দেখা গেছে, কর্তব্যরত অবস্থায় চিকিৎসকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটলেও কর্মক্ষেত্রে তাদের নিরাপদ পরিবেশ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না।