ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে গারুই ও নুনিয়া

garui river



রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জী, আসানসোল :

অন্য সময় শান্ত, কিন্তু বর্ষার সময় অতিভারী বৃষ্টিপাত হলেই গারুই ও নুনিয়া নদী যে কী ভয়ংকর রূপ ধারণ করে সেটা প্রতিবছর আসানসোলের রেললাইন পাড় সংলগ্ন নীচু এলাকার বাসিন্দারা হাড়েহাড়ে টের পায়। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটলনা। ওই দুই নদীর পার্শ্ববর্তী নীচু এলাকাগুলি প্লাবিত হয়েছে।


গত দু'দিন ধরে নিম্নচাপ জনিত একটানা প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে রাজ্যর বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে আসানসোলেও প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় সড়ক, অন্ডালের বিমানবন্দর, দূর্গাপুর, উখরা, রানীগঞ্জ, জামুড়িয়া সহ বিস্তীর্ণ এলাকা সবকিছুই জলের তলায়। অন্ডাল বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। রাস্তায় জল জমে যাওয়ায় গাড়ি চলাচল ব্যহত হয়ে পড়েছে।অনেক বাড়িতে জল ঢুকে গেছে। ইতিমধ্যে প্লাবিত এলাকার বাসিন্দারা তাদের বাড়ি খালি করে দিয়ে নিরাপদ জায়গায় সরে গেছে। নিরাপত্তার স্বার্থে ওইসব এলাকাগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর গাছ পড়েছে, প্রাচীর ও কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে৷ আশঙ্কা যদি আরও বৃষ্টি হয় তাহলে পরিস্থিতি ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে।


গৃহছাড়া বাসিন্দাদের জন্য আসানসোল পুরনিগমের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে অস্থায়ী শিবির। প্রস্তত রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে। চলছে পুলিশি টহলদারি। পুরকর্তারা বারবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করছেন। মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের নির্দেশে ডেপুটি মেয়র সহ সব কাউন্সিলার গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে।


আসানসোলের কল্যাণপুর হাউসিং সেতুতে ভেসে গেছে একটি চারচাকা গাড়ি। ঘটনাস্থলে আসেন আসানসোল সাউথ পিপির পুলিশ।


এদিকে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে আগামী দুদিন এই পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। মাঝেমধ্যে ভারী ও অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।


আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের নির্দেশে ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক সহ সব কাউন্সিলারদের গোটা পরিস্থিতি নজরে রাখতে বলা হয়েছে।