একমাসের লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের জনজীবন-স্বস্তির খবর জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর

northbengal



একমাসের লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের জনজীবন। কবে ঘটবে আবহাওয়ার উন্নতি? কবে খানিক বৃষ্টির দাপট কমবে সেদিকে তাকিয়ে উত্তরবঙ্গবাসী।

আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, এই সপ্তাহ জুড়ে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কালিম্পং সহ চার জেলায়। এই পূর্বাভাস অনুযায়ী শুক্রবারও চলছে টানা ভারী বৃষ্টিপাত। যার জেরে ফুঁসছে তিস্তা সহ লিস, ঘিস, ডায়না এবং অন্যান্য শাখা নদীগুলি। রবিবার অবধি উত্তরবঙ্গের উপরের চারটি জেলা তথা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷ আলিপুরদুয়ারে রয়েছে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে কমলা সতর্কতা এবং বাকি জেলাগুলিতে রয়েছে হলুদ সতর্কতা ৷ তিস্তার মেখলিগঞ্জ বাংলাদেশ বর্ডার অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি। পাশাপাশি এনএইচ ৩১ জলঢাকা নদীতে হলুদ সর্তকতার পাশাপাশি তিস্তা নদীর দোমহনীর সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা অব্যাহত। এর প্রভাবে পার্বত্য ও সংলগ্ন এলাকায় প্লাবন। পার্বত্য এলাকায় ধসের সম্ভাবনা এবং যখন তখন হড়পা বান আসার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রশাসনের তরফে বারংবার এলাকাবাসীদের সাবধান এবং সতর্ক করা হচ্ছে নিরাপদ আশ্রয় থাকবার জন্য। এছাড়াও কন্ট্রোল রুম মারফত নজরদারি চালানো হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির ওপর। চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর। প্রশাসনের তরফে খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির। জলপাইগুড়িতে জলে বিপন্ন পরিবারগুলিকে প্রশাসনের তরফে রাখা হয়েছে ত্রাণ শিবিরে।

সেন্ট্রাল ফ্ল্যাড কন্ট্রোল রুম জলপাইগুড়ি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ছ'টায় জলপাইগুড়ির গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে প্রায় ২১৭৩.৮৫ কিউমেক জল ছাড়া হয়েছে। একদিকে সমতল এবং পাহাড়ের ভারী বৃষ্টিপাতে বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে তিস্তা নদীর জল।ক্রমশ চাপ বাড়ছে তিস্তাতে। ফলতো, দফায় দফায় ছাড়া হচ্ছে তিস্তা ব্যারেজের জল। এরফলেও তিস্তার জল খানিক হলেও বাড়ছে।

সব মিলে স্পর্শকাতর পরিস্থিতিতে দিনযাপন করতে হচ্ছে উত্তরবঙ্গবাসীদের। তবে, সম্প্রতি স্বস্তির খবর জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। জানানো হয়েছে, আগামী এক সপ্তাহে বৃষ্টির দাপট কমতে চলেছে উত্তরবঙ্গে৷ তবে দক্ষিণবঙ্গে স্বাভাবিকের থেকেও কমে যাবে বৃষ্টির পরিমাণ ৷ আগামী সাতদিন ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকগণ।