Hathras Accident: এখনো পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১২০ ! দায় কার?

Hathras Accident: এখনো পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১২০ ! দায় কার?

 

Hathras Accident: উত্তরপ্রদেশের হাতরাস জেলার সিকান্দরাউ শহরের ফুলরাই গ্রামে মঙ্গলবার একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। এখানে ভোলে বাবার সৎসঙ্গ চলছিল। জানাযায়, সৎসঙ্গ শেষ হওয়ার পর ভিড় এখান থেকে চলে যেতেই পদদলিত হয়ে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু ঘটে।


রতিভানপুরের মুঘলাগড়ি গ্রামে ভোলেবাবা নামের এক স্বঘোষিত ধর্মগুরুর সৎসঙ্গ অনুষ্ঠান ছিল। আনুষ্ঠানিক উদ্যোক্তা- মানব মঙ্গল মিলন সদ্ভাবনা কমিটি। যেখানে মঙ্গলবার কয়েক হাজার ভক্তের জমায়েত হয়েছিল।


পদদলিত হয়ে মহিলা ও শিশুরা মারাত্মকভাবে পিষ্ট হয়। দুর্ঘটনায় বহু মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যে ১২০ জনের মৃত্যুর খবর উঠে আসছে। মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। দুর্ঘটনায় আহতদের মেডিক্যাল কলেজ ইটাতে পাঠানো হয়েছে।


ইটাহ এসএসপি রাজেশ কুমার সিংয়ের মতে, এখনও পর্যন্ত, ইটাহ হাসপাতালে 27টি মৃতদেহ এসেছে, যার মধ্যে 23 জন মহিলা, তিন শিশু এবং একজন পুরুষ রয়েছে। আহতরা এখনো হাসপাতালে পৌঁছায়নি। আরও তদন্ত করা হচ্ছে। এই ২৭টি লাশ শনাক্ত করা হচ্ছে।


দুর্ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্যের বর্ণনা দিতে গিয়ে জানিয়েছেন, সৎসঙ্গে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছিল। সৎসঙ্গ শেষ হলে সেখান থেকে লোকজন চলে যেতে থাকে। এরই মধ্যে চলে যাওয়ার তাড়ায় পদদলিত হয়। মানুষ একে অপরের দিকে তাকাচ্ছিল না। মহিলা ও শিশুরা পড়ে যেতে থাকে। তাদের উপর ভিড় ছুটছিল। বাঁচানোর কেউ ছিল না। চারিদিকে হইচই পড়ে যায়।


হাতরাসে ভোলে বাবার সৎসঙ্গ চলাকালীন পদদলিত হয়ে আহত হয়েছেন বহু মানুষ। সবাইকে ইটা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছে। ইটাহ চিফ মেডিক্যাল অফিসার উমেশ ত্রিপাঠি, এরিয়া অফিসার সিটি বিক্রান্ত দ্বিবেদী, কোতোয়ালি নগর অরুণ পাওয়ার এবং সমস্ত পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা মেডিক্যাল কলেজে উপস্থিত রয়েছেন।


মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর প্রথম প্রশ্ন উঠছে, অনুষ্ঠানের অনুমোদন ছিল? হাথরসের জেলাশাসক আশিস কুমার জানিয়েছেন, অনুমোদন দিয়েছিল মহকুমা শাসকের দপ্তর। তবে বিরাট ভিড় সামলোনোর মতো পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন ছিল কি না সমাবেশে সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও সামনে না এলেও একটি বিষয় স্পষ্ট, অনুষ্ঠান শেষের হুড়োহুড়ি সামলাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকাতেই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। রাজেশ কুমার নামের এক পুলিশ আধিকারিকের বক্তব্য, অতিরিক্ত ভিড়ের কারণেই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।