টুইটের পরেই দিনহাটা কলেজ হল্টের সমস্যার সমাধান, খুশি সকলেই

Dinhata College Holt


কোচবিহার দিনহাটা রেলযাত্রী মঞ্চ, দিনহাটা নাগরিক মঞ্চ, দিনহাটা কলেজ হল বাচাও নাগরিক কমিটি সব সময়ই দিনহাটা কলেজের স্টেশন এর স্বার্থে ও এর শ্রীবৃদ্ধির স্বার্থে লড়াই করে আসছে। গত বছর দূর্গা পুজোর আগেও দিনহাটা নাগরিক মঞ্চ, কোচবিহার দিনহাটা রেলযাত্রী মঞ্চ ইত্যাদি আলিপুরদুয়ার ডি আর এম অফিসে গিয়ে ডিআরএমের সাথে দেখা করে দাবি পত্র জমা দিয়েছিল যার মধ্যে দিনহাটা কলেজ হল্ট স্টেশনের সার্বিক উন্নতি একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবির মধ্যে ছিল। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার দিন, নিউ কুচবিহার স্টেশনে কোচবিহার দিনহাটা রেল যাত্রী মঞ্চ, আলিপুরদুয়ার উন্নয়ন মঞ্চ ও আরো তিনটি সংগঠনের যৌথ মেমোরেন্ডামেও কলেজ হল্টের উন্নতির কথা ছিল। সর্বোপরি কলেজ হল্ট বাঁচাও নাগরিক কমিটি, দিনহাটা নাগরিক মঞ্চ দীর্ঘদিন ধরে অক্লান্ত লড়াই করে যাচ্ছে কলেজ হল্ট স্টেশনের বিভিন্ন ন্যায্য দাবির স্বার্থে। 


এসব সত্ত্বেও কলেজ হল্ট স্টেশনের ছোট্ট ছোট্ট অত্যন্ত প্রাথমিক রেলযাত্রী সম্পর্কিত বিষয়গুলি রেলের দৃষ্টি থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। সোমবার কোচবিহার দিনহাটা রেলযাত্রী মঞ্চের কনভেনার অধ্যাপক (ডক্টর) রাজা ঘোষ দিনহাটা কলেজ হল্ট স্টেশনে গিয়ে দেখতে পান যে, তিনটি ফ্যানের মধ্যে কেবলমাত্র একটিমাত্র ফ্যানই কাজ করছে। তিনি তৎক্ষণাৎ নিজের ব্যক্তিগত এক্স হ্যান্ডেল থেকে আলিপুরদুয়ার ডিআরএম, জি এম উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ও ভারতের মাননীয় রেলমন্ত্রী কে বিষয়টি অবগত করার জন্য টুইট করেন। চার ঘন্টার মধ্যে ওনার টুইটে DRM অফিসের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে দুবার রিপ্লাই আসে এবং জানানো হয় যে প্রত্যেকটি ফ্যানকে ঠিক করা হয়েছে এবং প্রত্যেকটি ফ্যান বর্তমানে কার্যকরী অবস্থায় রয়েছে। 



কলেজ হল্ট স্টেশনে ফোন করে জানা গেছে যে সোমবার রাতে সমস্ত ফ্যান ঠিক হয়েছে। আজকে লাইট গুলিও ঠিক করার কথা। কোচবিহার দিনহাটা রেলযাত্রী মঞ্চের কনভেনার আরো জানান যে "বামন হাট রেল যাত্রী সমিতির শুভঙ্কর ভাদুরি ও নিগম নগরের অনুপম মোদক আমার এই মুল টুইট পোস্টটি শেয়ার ও লাইক করেছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে লিখিত দাবি দিয়ে ও ডিআরএমের সাথে সরাসরি দেখা করার পরেও যেই কাজটি করতে পারিনি, একটি মাত্র টুইটের দ্বারা সেই কাজের কিছুটা অংশ দ্রুত শুরু হওয়াতে আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। 


তিনি আরও বলেন, যদিও ২২শে অগস্ট ২০২২ সালেও এক ই ধরনের টুইট আমি জি. এম., এন. এফ. আর, (মালিগাও) কে করেছিলাম কারন ওই দিন কলেজ হল্টের একটি ফ্যান ও কাজ করছিল না। যাই হোক, সামাজিক গণমাধ্যমের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে যুবসমাজকে অবহিত করা এবং এর মাধ্যমে রেল আন্দোলনকে আরো শক্তিশালী করা পরবর্তীতে আমাদের একটি বড় এজেন্ডা হবে। নিগমনগরের বাসিন্দা অনুপম মোদক বলেন যে "প্রত্যেকবারের মতো এইবারও আমি কোচবিহার দিনহাটা রেল যাত্রী সমিতির কনভেনারের করা টুইট শেয়ার রিটুইট ও লাইক করলাম কিন্তু তারপরে যখন জানতে পারলাম যে ফ্যানগুলো ঠিক হয়ে গেছে রাত্রি সাড়ে আটটা থেকে নটার (সোমবার) মধ্যে ও ডি. আর. এম. আলিপুর নিজে ২ বার টুইট করে সেটা জানিয়েছে খুব ভালো লাগলো।



দিনহাটা নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক জয়গোপাল ভৌমিক জানান, আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ কলেজ হল্টের জন্য লড়াই করছি। কোচবিহার দিনহাটা রেলযাত্রী মঞ্চ, দিনহাটা নাগরিক মঞ্চ, দিনহাটা কলেজ হল বাচাও নাগরিক কমিটি, এই তিন কমিটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দাবি দাওয়া পেশ করেছে। সেই সকল দাবি দাওয়া কিছু পূরণ হয়েছে আবার কিছু বকেয়া রয়েছে। তবে টুইটের পর অতি দ্রুততার সাথে যেভাবে সমস্যার সমাধান হল তাতে আমরা খুবই খুশি। আমরা রেল, ডিআরএমকে এজন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই। আগামী দিনে অন্যান্য দাবি গুলো অতি দ্রুততার সাথে রেল পূর্ণ করবে বলে আশাবাদী তিনি।