কোচবিহারে মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধোরের ঘটনায় পুলিশি নিরাপত্তার নির্দেশ জাতীয় মহিলা কমিশনের

National Commission for Women
জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য ডেলিনা কংবুপ



কোচবিহার: মাথাভাঙ্গার নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের কড়া পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য ডেলিনা কংবুপ। রবিবার সকালে তিনি মাথাভাঙার রুইডাঙা গ্রামে সেই নির্যাতিতার বাড়িতে যান। কথা বলেন নির্যাতিতার মায়ের সঙ্গে। তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কী ধরনের ঝামেলা হচ্ছে সবটাই শোনেন তিনি। এরপর ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঘোকসাডাঙা থানার পুলিশ আধিকারিকদের ওই পরিবারকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

ডেলিনা কংবুপ বলেন, ‘এক মহিলার ওপর অত্যাচার হয়েছে। এটা হওয়া উচিত না। যে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটুক, এটা কাম্য নয়। গোটা বিষয়টি নিয়ে আমি পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছি। কিন্তু উনি দেখা করতে চাননি। এটা দুর্ভাগ্যজনক।‘

পাশাপাশি এই দিন কোচবিহার জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। তিনি নিজেও ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন। একই সাথে তিনি পরিষ্কার মন্তব্য করে বলেন একটি পারিবারিক ঘটনাকে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। এই ঘটনা সম্পূর্ণ পারিবারিক। এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো যোগাযোগ নেই। তৃণমূলের কোন সদস্য কোন কর্মী এর সঙ্গে কোন ভাবে জড়িত নেই।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল কোচবিহারের জেলা রাজনীতি। প্রসঙ্গত রুহিডাঙ্গার এক মহিলাকে বিবস্ত্র করে গ্রামে ঘোরানো হয়েছে এই অভিযোগে গত ৫ দিন থেকে উত্তাল কোচবিহারের রাজ্য রাজনীতি। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলের হার্মদরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

আজ রুহি ডাঙ্গার ঘটনা স্থলে সরজমিনে তদন্ত করেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। এরপরেই তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে বলেন গত ১০ বছর থেকে ওই পরিবারের পারিবারিক সমস্যা ছিল সেই সমস্যাই এদিন বৃহত্তর আকার ধারণ করে এখানে তৃণমূল বিজেপির কোন প্রশ্ন নেই।

যদিও ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছেন কোচবিহার ঘোকশাডাঙ্গা থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।