মহিলা সংখ্যালঘু মোর্চার কর্মীর পাশে বিজেপির রাজ্য প্রতিনিধি দল

today



কোচবিহার:

গত ২৫ তারিখ কোচবিহার ঘোকসাডাঙ্গা থানা এলাকার রুইডাঙ্গা এলাকায় এক মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় এই পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপরেই নিগৃহীত মহিলাকে বিজেপি সংখ্যালঘু মহিলা মোর্চার একজন প্রতিনিধি হিসেবে চিহ্নিত করে আন্দোলনের নামে বিজেপি।

এদিন বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি দল কোচবিহারে আসেন এবং পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা বলার পাশাপাশি বিক্ষোভ অবস্থান শুরু করেন। কোচবিহার পুলিশ লাইন চৌপথি ঘেরাও করে তারা বিক্ষোভ করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিশ। প্রায় কুড়ি মিনিট বিক্ষোভ অবস্থান করার পর তারা তাদের বিক্ষোভ তুলে নেয়।

অগ্নিমিত্রা দেবী মন্তব্য করে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে নাটক চলছে। কোন অবস্থাতেই এই ধরনের ব্যবহার সাধারণ মানুষের উপরে মেনে নেওয়া যাবে না। যিনি নিগৃহিত হয়েছেন তিনি সংখ্যালঘু মহিলা মোর্চার একজন সক্রিয় কর্মী। তাকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ফেলে রাখা হল আর ঘটনার কোন তদন্ত হচ্ছে না! কি করছে পুলিশ প্রশাসন? এর পরেই পুলিশ সুপার অফিসে যান তিনি। সেখান থেকে নির্যাতিতার সাথে দেখা করতে বিজেপি দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হন অগ্নিমিত্রা পাল।

এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে নির্যাতিতা বলেন, তাকে পুলিশের তরফ থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাকে ভয় দেখানো হচ্ছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েতের মাধ্যমে। ঘটনায় তার উপরেই চলছে হুমকি। পুলিশ সুরক্ষা থাকলে তবেই বাড়ি পৌঁছাতে পারবেন তিনি বলে জানান।

বর্তমানে তিনি বিজেপি দলীয় কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে দলীয় সূত্রে। অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, পুলিশ যতই বলুক ঘটনাটি পারিবারিক এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো যোগ নেই কিন্তু এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না যে এটা রাজনৈতিক ঘটনা নয়। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পরাজয়ের পরেই তাদের কর্মীদের উপরে যথেচ্ছ আক্রমণ এবং হামলা হচ্ছে। এটা তারই অংশ বিশেষ। ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্ত এবং দোষীদের পর্যাপ্ত আইনক শাস্তির দাবি জানানো হচ্ছে।

অপরদিকে কোচবিহার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষ্ণ গোপাল মিনা এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তাকে কখনোই বিষয়টি রাজনৈতিক হিসেবে চিহ্নিত নেই। সম্পূর্ণ পারিবারিক এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবার আগে নির্যাতিতার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপরই তার বক্তব্য অনুযায়ী পরবর্তী তদন্ত শুরু হবে। ঘটনায় রাজনৈতিক কোন যোগসাজোস নেই।

উত্তরবঙ্গ পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থ প্রতিম রায় জানিয়েছেন,'এতি সম্পূর্ণ পারিবারিক একটি বিষয়, এখানে রাজনীতির কোন যোগ নেই।'