অভাব অনটন কাটিয়ে অদম্য ইচ্ছা শক্তি ও পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে জলপাইগুড়ি জেলার নাম উজ্জ্বল করলো পূজা 

Puja Biswas


জলপাইগুড়ি, জয়ন্ত বর্মণ:

অভাব অনটন কাটিয়ে অদম্য ইচ্ছা শক্তি ও পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে জলপাইগুড়ি জেলার নাম উজ্জ্বল করলো ধুপগুড়ি শালবাড়ির পূজা বিশ্বাস। অদূর ভবিষ্যতে ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা করে শিক্ষকতা করতে চান তিনি। তবে বাঁধা আছে আর্থিক অনটন।




গাদং ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে দিনমজুর পরিবার থেকে উঠে আসা পূজা শালবাড়ী উচ্চতর বিদ্যালয়ের ছাত্রী। মোট ৪৬৪ নম্বর পেয়ে শালবাড়ি উচ্চতর বিদ্যালয়ের শীর্ষে স্থান করে নিয়েছে পূজা।




কোনোমতে দিনমজুর বাবা-মা প্রাথমিক স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে স্বপ্ন দেখেছেন নিজের সন্তানদের উচ্চশিক্ষিত করার। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই তাদের বাড়ির বড় মেয়ে ধুপগুড়ি সুকান্ত মহাবিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ছাত্রী। বাড়িতে রয়েছে পূজা বিশ্বাসের ছোট ভাইও। সেও স্কুলমুখি। একদিকে মেয়ের সাফল্যে আপ্লুত বাবা-মা। তবে মেয়ের স্বপ্ন পূরণ করার ইচ্ছে থাকলেও উপায় যেন হয়ে উঠছে না।




সাফল্য থাকলেও স্বপ্নপূরণে একরাশ হতাশা নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলার সুনামধন্য কোনো মহাবিদ্যালয়ে ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় পূজা বিশ্বাস। তবে এই চরম পরিস্থিতিতে মানসিক ভাবে সাহস জুগিয়ে যাচ্ছেন পূজা বিশ্বাসের গৃহ শিক্ষক সত্যজিৎ চক্রবর্তী। মাধ্যমিক থেকেই স্কুলের চার দেয়ালের ভেতরের পড়াশোনার পাশাপাশি গৃহ শিক্ষকতা করে পূজার ভালো ফলের অনবদ্য প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন তিনি। তিনি চাইছেন সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেয়ে অদূর ভবিষ্যতে আরো সাফল্যের গণ্ডিতে পা দিক পূজা।