লোকসভা ভোটের আবহে সুন্দরবনের হাজার হাজার মহিলারা মাতলেন শীতলা বন্দনায়
বাসন্তী :
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের নফরগঞ্জ অঞ্চলের বিরিঞ্চিবাড়ি চালধোয়া গ্রামে লোকসভা ভোটের আবহের মধ্যে হাজার হাজার মহিলারা মাতলেন শীতলা মায়ের বন্দনায়।এবারে এই পুজো ৬৯ বর্ষে পদার্পণ করল।আর এই পুজো উপলক্ষে চলবে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত গ্রামীণ মেলা।
মেলায় বসেছে হরেক রকমের ফলের দোকানপাট থেকে শুরু বিভিন্ন জিনিস পত্রের দোকান।আর মেলার সাংস্কৃতিক মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে যাত্রা পাল,শীতলা মঙ্গল, গাজন গান সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান।সুন্দরবনের বিদ্যাধরী নদীর পাড়ে বিরিঞ্চিবাড়ি চালধোয়া প্রত্যন্ত গ্রামে আজ থেকে ৬৯ বছর আগে এই শীতলা মন্দির প্রতিষ্ঠিত গ্রামের মানুষের রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি লাভের আশায়।
এদিকে সুন্দরবনের মৎস্যজীবী অপরদিকে সোদা মাটির নোনা জলের কৃষিজীবী মানুষ।তারা আজও একদিকে বিনবিবির পুজো দিয়ে যেমন জল জঙ্গলে মাছ কাঁকড়া শিকার করতে যায় তেমনি মা শীতলার ৪২ টি রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আজও এই শীতলা মায়ের বন্দনায় মেতে উঠেন।আর এই পুজো ও গ্রামীণ মেলাকে কেন্দ্র করে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে হাজার হাজার ভক্তরা উপস্থিতি হয়।ফলে উঠে আসে সর্ব ধর্মের মেল বন্দন।
আজ থেকে ৬৯ বছর আগে তেমন ভাবে ছিল না স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য ডাক্তার কবিরাজ।ফলে এলাকার মানুষজনের ভরসা হয়ে ওঠে মা শীতলার।ভক্তিভরে শাস্ত্রীয় মতে চলে পুজো অর্চনা।তবে বর্তমানে রোগ ব্যাধি হলে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যায় এবং শীতলা মায়ের আরাধনাও করেন তারা।কথায় আছে বিশ্বাসে বিলায় বস্তু তর্কে বহু দূর।আর এই বিশ্বাস আজও বহন করে চলছে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এই গ্রামের মানুষজন।
এ বিষয়ে পুজো ও মেলা কমিটির সম্পাদক গুরুপদ ভঞ্জ বলেন বিদ্যাধরী নদীর পাড়ে বিরিঞ্চিবাড়ি চালধোয়া গ্রামে আজ থেকে ৬৯ বছর আগে তৎকালীন জমিমার নফর পাল চৌধূরী উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় বিভিন্ন রোগের হাত থেকে মুক্তি পেতে এই শীতলা মায়ের মন্দির।সেই সময় এখানে ডাক্তার কবিরাজ ছিল।এখানে জীবিকা বলতে মৎস্য শিকার ও নোনা মাটিতে ফসল ফোলানো।ফলে এখানকার মানুষজন একদিকে বনবিবির পুজো দিয়ে যেমন মৎস্য শিকার করতে যেত জল জঙ্গলে অপর দিকে রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে শীতলা মায়ের বন্দনা করতেন।কথিত ৪২ টি রোগের হাত থেকে মুক্তি পেতে মায়ের আরাধনা করে ভক্তরা।
তিনি আরও বলেন হাজার হাজার মহিলারা এবং সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার হাজার হাজার ভক্তরা এই পুজো ও মেলা কে মেতে উঠেন এবং সুন্দরবনের কৃষ্টি সাংস্কৃতিক তুলে ধরা হয়।ফলে সৃষ্টি হয় সর্ব ধর্মের মেল বন্ধন।মেলার কদিন যাত্রা পালা শীতলা মঙ্গল গাজন গান সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।
0 মন্তব্যসমূহ
thanks