রাম মন্দির উদ্বোধনে আমন্ত্রণ পত্র পেলেন গঙ্গাসাগরের নাগা সাধুরা

Naga Sadhu


গঙ্গাসাগর:

অপেক্ষা মাত্র কয়েকটা দিন , তারপরেই শুরু হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৪। গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে সাধু - সন্তদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে বহু সাধুরা রওনা দিয়েছে। এর মধ্যেই খুশির খবর এল গঙ্গাসাগরের কপিল মুনি মন্দির সংলগ্ন নাগা সাধুদের আকড়ায়। ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হতে চলেছে অযোধ্যার রাম মন্দির। রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে গঙ্গাসাগরে আগত ৬০ জন নাগা সাধুদের হাতে এসে পৌঁছালো আমন্ত্রণপত্র। এই আমন্ত্রণ পত্র পেয়ে খুশি কপিলমুনি মন্দির সংলগ্ন এলাকায় থাকা নাগা সাধুর দল। তারা সেই অযোধ্যায় গিয়ে পৌঁছতে পারবে কিনা সন্দেহ রয়েছে।



পুরানে কথিত রয়েছে সত্য,ক্রেতা, দ্বাপর, কলি এই চার যুগের কিছু কাহিনী ও কিছু তীর্থক্ষেত্রের নাম। সেই পুরাণের কাহিনী ঘেঁটে পাওয়া যায় কলি যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ তীর্থক্ষেত্র হল গঙ্গা এবং বঙ্গোপসাগর মিলন স্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগর। গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরে প্রতিবছর মকর সংক্রান্তির দিন পুজো দিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা এসে হাজির হয় পুন্য লাভ ও মোক্ষ লাভের আশায়। যা পূর্ণ তীর্থে পরিণত হয়। আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা। এই মেলায় যোগ দেন নাগাসাধুরাও । আর কিছুদিন পর মকর সংক্রান্তি। তাই পূণ্য স্নান সারতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সন্ন্যাসীরা এসে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন এই গঙ্গাসাগরের তীর্থে। আর এবার রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্র পেলেন গঙ্গাসাগর মেলার সাধু সন্ন্যাসীরা। যা নিয়ে তাঁরা বেশ চমকে গিয়েছেন। কপিলমুনি আশ্রমের পাশে স্থায়ী আকড়াতে বসেছেন তাঁরা। আর সেখানেই এসে পৌঁছেছে রামমন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্র। তবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ৬০টি দেশে হিন্দু সমাজের কাছে এই চিঠি পৌঁছে দেবেন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে বলে সূত্রের খবর।অন্যদিকে ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে গঙ্গাসাগর মেলায় আসা সাধু সন্ন্যাসীদের হাতে এসে পৌঁছল অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্র। আমন্ত্রণপত্র পেয়ে খুশি গঙ্গাসাগর মেলায় আসা সাধু সন্ন্যাসীরা। ওইদিন দেশ বিদেশের লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী অযোধ্যায় উপস্থিত থাকবেন। আর সেখানেই এবার নাগা সাধু সন্ন্যাসীদের আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে।




এছাড়া গঙ্গাসাগর মেলাকে নিয়ে যেমন রয়েছে হিন্দুদের একাধিক পৌরাণিক কাহিনী, ঠিক তেমনই হিন্দুদের অন্যতম পীঠস্থান অযোধ্যার রাম মন্দির। আর এগুলি একে অপরের সঙ্গে যেন অঙ্গাঙ্গিকভাবে যুক্ত। তারা জানিয়েছে বহু নাগা সাধুদের প্রাণ গিয়েছে এই রাম জন্মভূমির লড়াইয়ে। অপরদিকে গঙ্গাসাগর কপিলমুনি মন্দির পরিচালন করে অযোধ্যায় হনুমান গঢ়ীর মহন্তরা। যেহেতু রামের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিল হনুমান। সেই কারণে রাম মন্দির উদ্বোধন আমন্ত্রণ পেল হনুমান গঢ়ীর সাধু থেকে শুরু করে মহন্তরা।



গঙ্গাসাগরের নাগা মহারাজ নিত্যানন্দ গিরি বলেন, আমরা অত্যন্ত খুশি ও আপ্রুত। আমরা অবশ্যই রাম মন্দির উদ্বোধনে যাব। গঙ্গাসাগর মেলা সমাপ্তির পরেই ১৭ তারিখ আমরা রাম মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা দেব। আমরা নিজেদেরকে খুবই ভাগ্যবান বলে মনে করছি আমরা নিজে চোখে ভগবান শ্রী রামের এই মন্দির উদ্বোধন দেখতে পাবো। রাম মন্দির তৈরি করার ক্ষেত্রে বহু নাগা সন্ন্যাসীদের রক্ত ঝরেছে প্রাণও গিয়েছে। আমাদেরকে মনে রাখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। নাগা সাধু মহেন্দ্র গিরি বলেন, খুব খুশি । নাগারা জীবন দিয়েছে রাম মন্দিরের জন্য। নাগারাও রাম মন্দির উদ্বোধনে যাবে এটাই তো স্বাভাবিক ব্যাপার। আমরা অবশ্যই যাবো রাম জন্মভূমিতে। সামনেই গঙ্গাসাগর মেলা ও রাম মন্দির উদ্বোধনে আমন্ত্রণ পত্র পেয়ে জোড়া খুশি গঙ্গাসাগরের নাগা সন্ন্যাসীদের আকড়াতে।