Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

অভিনবভাবে নিজের জন্মদিন কাটালেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

বিশেষভাবে সক্ষমদের সাথে কেক কেটে ও রবীন্দ্র সংগীতের মধ্যে দিয়ে নিজের জন্মদিন উদযাপন করলেন রাজ্যপাল

Birthday celebration


নরেন্দ্রপুর:

বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্বে আসার পর থেকে একাধিকবার তিনি বুঝিয়েছেন, বাংলার মানুষের জন্য তিনি কতটা ভাবিত। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় যেখানে যেখানে অশান্তির অভিযোগ পেয়েছেন, সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়েছেন। কন্ট্রোল রুমের ধাঁচে রাজভবনে খুলেছিলেন পিস রুম। তিনি সিভি আনন্দ বোস। ২রা জানুয়ারি ১৯৫১ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ২০২৪ এ ৭৩ তম বর্ষে পদার্পণ করলেন । আর এই ৭৩ তম জন্মদিন যেন অন্যরকম ভাবে পালন করলেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।



মঙ্গলবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ব্লাইন্ড বয়েজ একাডেমিতে সপরিবারে আসেন রাজ্যপাল। রামকৃষ্ণ মিশনের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল। এছাড়াও ব্লাইন্ড বয়েজ একাডেমিতে পরিকাটামও খতিয়ে দেখেন এরপর। বিশেষভাবে সক্ষম মানুষদের সাথে নিজের জন্মদিনের আনন্দ ভাগ করে নেন রাজ্যপাল। বিশেষ সক্ষম মানুষদের সাথে কেক কেটে ও রবি ঠাকুরের আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে গান গেয়ে নিজের ৭৩ তম জন্মদিন উদযাপন করেন।গভর্নর অ্যাক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। ১ লক্ষ টাকার একটি চেক দেওয়া হয়। সার্টিফিকেট, মেমেন্টো ও বাচ্চাদের জন্য কেক ও মিষ্টি নিয়ে আসেন রাজ্যপাল।



এই দিন রাজ্যপাল সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের কাছ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পেয়ে আনন্দিত হন। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, এই বিশেষ দিনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে ফোন করেছিলেন। রাষ্ট্রপতিও ফোন করেছেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভোকেশন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোনো উত্তর দেননি। নতুন বছরে বাংলার, জল মাটি সবকিছুর পুন্য হোক বলে জানান তিনি। এখানে এসে তার ভালো লেগেছে বলে জানান রাজ্যপাল।



হোম সেক্রেটারি ও চিফ সেক্রেটারি যারা নতুন হয়েছে তাদের শুভেচ্ছা জানান। তবে তারা তাদের কর্তব্যে যাতে অবিচল থাকেন তা স্মরণ করিয়ে দেন। কোনো দুর্নীতি যাতে না হয় সে বিষয়েও সতর্ক করেন তিনি।একাধিকবার তিনি বুঝিয়েছেন, বাংলার মানুষের জন্য তিনি কতটা ভাবিত। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় যেখানে যেখানে অশান্তির অভিযোগ পেয়েছেন, সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়েছেন। কন্ট্রোল রুমের ধাঁচে রাজভবনে খুলেছিলেন পিস রুম। সম্প্রতি বিশ্বকাপের সময় যখন ইডেনের টিকিটের হাহাকার পড়ে গিয়েছিল, তখন ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য রাজভবনে জায়েন্ট স্ক্রিনের বন্দোবস্তও করেছিলেন তিনি। রাজ্যপালের বিভিন্ন কর্মকান্ডে বাংলার মানুষ যে উপকৃত হয়েছে তা বলার বাহুল্য রাখেনা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code