Selfie zone: রেলস্টেশনেও সেলফি জোন, সেলফি তুলতে ভীড় রেলযাত্রীদের 

Selfie zone at the railway station, railway passengers crowd to take selfies



পুজো মণ্ডপের পর এবার স্টেশনেও সেলফি জোন। সেখানেও রয়েছে থিম। জলপাইগুড়ির টাউন স্টেশনের সেলফি জোনের থিম ইসরোর চন্দ্রযান ৩। চাঁদের দক্ষিণ মেরু প্রদেশে চন্দ্রযান ৩-র সফল অবতরণের পর থেকেই ভারতের মহাকাশ গবেষণা সারা ফেলে দিয়েছে বিশ্বজুড়ে। এই সফলতা পেছনে ফেলেছে রাশিয়া, আমেরিকা, চীনের মত বিগ বস দেশকেও। আর এতেই গর্বিত ভারতবর্ষ। এবার সেই গর্বিত ইতিহাসকে পাথেয় করে অমৃত ভারত প্রকল্পের অধীনে জলপাইগুড়ি টাউন এবং রোড স্টেশনে সেলফি জোন করল রেল বিভাগ।



এখন সেলফি তোলা প্রায় উন্মাদনার পর্যায়ে পৌঁছেছে। বেড়াতে গেলে তো বটেই, এমনিতেও মোবাইল সামনে নিয়ে যে কোনও জায়গায় নানা ভঙ্গিতে সেলফি তুলতে ব্যস্ত থাকে নতুন প্রজন্ম। তবে শুধু এই প্রজন্ম বললে ভুল হবে, বয়স্করাও আজকাল সেলফির নেশায় শিকার। এবার সেই ক্রেজকেই কাজে লাগিয়ে রেল বিভাগের মাধ্যমে ভারতের বিজ্ঞান চর্চার সাফল্য তুলে ধরা হচ্ছে। আর ইদানিং কালে দেশের বড় সাফল্য হিসেবে চন্দ্রযান ৩ লঞ্চের ঘটনাই দেশবাসীর মনে গেঁথে রয়েছে। স্টেশনের মাঝে বানানো চাঁদ এবং চাঁদের মাটিতে বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের সামনে এখন থেকেই নিজস্বী তুলতে দেখা গেল স্কুল পড়ুয়া থেকে কর্মরত গর্বিত ভারতীয়কে।



শহরের একটি স্কুলের শিক্ষার্থী কবিতা রায় জানান, আমাদের দেশের বিজ্ঞানের সাফল্য আমাদের মতো ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্বুদ্ধ করে। শহরের মধ্যে থাকা রেল স্টেশনের মধ্যে আমাদের দেশের বিজ্ঞানের সাফল্য তুলে ধরে সেটাকে সেলফি জোন বানানো সত্যি সারপ্রাইজিং। সেলফির ব্যকগ্রাউন্ড যদি দেশের সাফল্য বর্ণনা করে তাহলে আমার বা আমাদের ছবি স্যোশাল মিডিয়ায় দেখে তারাও দেশের এই সাফল্যকে সেলিব্রেট করবে।"



রেল বিভাগের এই উদ্যোগে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী স্টেশনে এসে দেখেছেন এবং নিজেদের ছবিও তুলছেন। মানুষের মনের অগোচরেই এই সলেফি জোনটি বিজ্ঞান সফলতাকে জিইয়ে রাখছে তা বললে হয়তো ভুল কিছু হবে না। যেমন, কিরন কিরঙ্গের মত কর্মজীবী কাজে যাচ্ছেন শিলিগুড়ি। হঠাৎ ওই সেলফি জোনের সামনে দাড়িয়ে কিছুক্ষণ দেখলেন ওই জায়গাটা। মুখে মুচকি হাঁসি নিয়ে সেলফি জোনে উঠে ঝটপট তুলে নিলেন কিছু নিজস্বি। তার কাছে গিয়ে কথা বলতে বলতে আধো বাংলায় বললেন, এটা রেলের তরফে খুব ভালো উদ্যোগ। আগে লোকে রেলকে পেছনে রেখে ছবি তুলতেন। এখন চন্দ্রযান এবং চাদের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন। বেশ ভালোই লাগছে। অন্যদের ছবি তোলা দেখে আমিও নিজের ছবি তুলে রাখলাম। এটা একটা স্মৃতি হয়ে থাকবে।"



অবশ্য স্টেশনে তৈরি এই সেলফি জোন সম্পর্কে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনের স্টেশন মাস্টার উমেশ কুমার কোন মন্তব্য করতে চাননি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এটা বানানো হয়েছে বলে মত তার। তবে রেলের এ হেন উদ্যোগ যে বেশ সফল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। খুশি সাধারণ মানুষও।