কৃষিতে নতুন দিশা চা চাষিদের
শীত পড়তেই বাজারে খোঁজ পড়েছে কমলা লেবুর। দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর রোদে বসে কমলা লেবু না খেলে ঠিক শীতের আমেজ মেলে না। আর উত্তরবঙ্গে তথা জলপাইগুড়িবাসীর মনে কমলা লেবু মানেই দার্জিলিং কিংবা সিটং এর কথাই প্রথমে মাথায় আসে। বাজারে দার্জিলিং এর কমলার চাহিদা থাকলেও সবসময় তা মেলে না। কিন্তু আর চিন্তা নেই। এবার থেকে জলপাইগুড়ির চা বাগানেই হবে কমলা চাষ। অবাক হচ্ছেন? কিভাবে সম্ভব জানুন।
শহর থেকে খানিকটা দূরে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি চ্যাংমারি গ্রামে চা বাগানের মধ্যেই কমলালেবুর চাষ করে নতুন আয়ের দিশা দেখছেন চাষিরা।
গতবছর চা বাগানে চাষ হওয়া কমলালেবু চাষিরা আনন্দে বিলি করেছিলেন স্বজনদের, পড়শিদের, চেনাজানাদের। বাকি যা ছিল, সেগুলি পাইকাররা এসে নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে এবছর ছবিটা একটু অন্য রকম। গাছে ফল আসতেই বাগানে ঘোরাঘুরি শুরু হয়ে গেছে পাইকারদের। এ বার চাষিরা পুরোপুরি পেশাদার কমলালেবু চাষি। বাজারের চাহিদা আর গতিপ্রকৃতি বুঝে নিচ্ছেন ভালোভাবে।
জলপাইগুড়ি থেকে ময়নাগুড়ি চ্যাংমারি গ্ৰামে চা বাগানের সবুজে এখন দেখা মিলছে কমলালেবু। আর এই কমলার আঁকিবুকি দেখতে বহু মানুষ আসছেন এই গ্রামে।
সাধারণভাবে নভেম্বর মাসে শেষ ফ্ল্যাশ। এরপর থেকে চা বাগানে শুরু হয় লিন পিরিয়ড। এই সময় আর চা পাতা হয় না। ডিসেম্বর শুরুর পর বাগানে শুরু হয় চা গাছ ছেঁটে ফেলার কাজ। ফলে মার্চ মাস পর্যন্ত চা বাগান থেকে আয় হয় না তেমন। এই সময়ে বিকল্প আয়ের দিশা খুঁজতেই শেড-ট্রি হিসেবে কমলালেবুর চাষের ভাবনা মাথায় এসেছিল। সেই ভাবনাই এখন দিশা দেখাচ্ছে অন্যদেরও।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊