সুপ্রিম স্বস্তি! মিললো রক্ষাকবচ, গ্রেফতার করা যাবে না পর্ষদ সভাপতিকে
অবশেষে সুপ্রিম স্বস্তি পেল পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। সুপ্রিমকোর্টের রক্ষাকবচ পেলেন তিনি। আর এই রক্ষাকবচের ফলে গ্রেফতার করা যাবে না পর্ষদ সভাপতিকে। এমনটাই খবর।
ওএমআর শিট কারচুপি মামলায় গত ১৮ই অক্টোবর সিবিআইকে রিপোর্ট পেশ করতে বলে হাইকোর্ট। সেই মামলায় বর্তমান পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল ও পর্ষদ সচিবকে জেরার জন্য ডেকে পাঠায় সিবিআই। সিবিআইয়ের জেলার মুখোমুখিও হন সভাপতি ও সচিব। এরপরেই রক্ষাকবচ চেয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। গতদিন রক্ষাকবচ দেয়নি আদালত। কিন্তু আজ রক্ষাকবচ দিল সুপ্রিমকোর্ট।
জানা যাচ্ছে, সোমবার পর্ষদ সভাপতির আবেদনে সাড়া দেননি বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস এবং বেলা এম ত্রিবেদী। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, যদি তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করা হয়, তা হলে গ্রেফতারের আশঙ্কা কেন? এরপর আজ শুক্রবার শুনানির পর রক্ষাকবচ দেওয়া হয় গৌতম পালকে পাশাপাশি রক্ষা কবচ পেলেন সচিবও। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ওএমআর শিটের ডিজিটাইজড ডাটা চাইলে নতুন প্রিন্ট করা ওএমআরকে চালিয়ে দেয় পর্ষদ এমনটাই অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইকে পর্ষদ সভাপতি ও সচিবকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয়। প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দেয় আদালত। এরপরেই রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় সভাপতি ও সচিব।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী জানান, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে তাঁদের। সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) তদন্ত চালিয়ে যাবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। শুক্রবার গৌতম পালের আইনজীবী আদালতে জানান, এই দুর্নীতি নিয়ে তারা কিছুই জানেন না। গত বছর ২৪ আগস্ট তিনি পর্ষদের দায়িত্ব নিয়েছেন। আইনজীবীর ওই বক্তব্য শোনার পরেই গৌতমকে রক্ষাকবচ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊