প্রথমবারের মতন জয় পেলো পাকিস্তান, বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল বাংলাদেশ
মঙ্গলবার ইডেন উদ্যানে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার আশা জিইয়ে রাখল পাকিস্তান। অন্যদিকে, টানা ৬টা ম্যাচে হেরে এবারের বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপে শেষ চার ম্যাচে হারের ধারা ভাঙল পাকিস্তান। কলকাতার ইডেন গার্ডেনে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে তারা। এই জয়ে সেমিফাইনালে ওঠার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে পাকিস্তান। অন্যদিকে সাত ম্যাচে ষষ্ঠ পরাজয়ের পর টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ দল। পাকিস্তানকে খেলতে হবে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। দুটি ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে উঠতে পারে। তবে এর জন্য তাকে নির্ভর করতে হবে অন্য দলের ফলাফলের ওপর।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব। ৪৫.১ ওভারে ২০৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশি দল। পাকিস্তান ৩২.৩ ওভারে তিন উইকেটে ২০৫ রান করে ম্যাচ জিতে নেয়। বাংলাদেশ এখন খেলবে শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৮১ রান করেন ফখর জামান। ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান তিনি। আব্দুল্লাহ শফিক ৬৮ রান করেন। জামান ও শফিক প্রথম উইকেটে ১২৮ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে শক্তিশালী সূচনা এনে দেন। বাজে ফর্মের কারণে শেষ কয়েকটি ম্যাচে খেলা হয়নি ফখরের। ইমাম উল হকের জায়গায় তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান ফখর।
এই ম্যাচে অধিনায়ক বাবর আজমের ব্যাট কাজ করেনি। টুর্নামেন্টে তিনি তিনটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন, তবে একটিও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। নয় রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বাবর। তার আউটের পর ম্যাচ শেষ করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ইফতেখার আহমেদ। রিজওয়ান ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন এবং ইফতিখার ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের হয়ে তিন উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
এর আগে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। লিটন দাস ৪৫ রান করে আউট হন, অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ৪৩ রান করে এবং মেহেদি হাসান মিরাজ ২৫ রান করে। পাকিস্তানের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ও শাহীন আফ্রিদি। দুটি সাফল্য পেয়েছেন হারিস রউফ। একটি করে উইকেট নেন ইফতেখার আহমেদ ও উসামা মীর।
এর আগে শাহীন শাহ আফ্রিদির (৩/২৩) প্রাণঘাতী বোলিংয়ে ৪৫.১ ওভারে ২০৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে, তিনি 2015 সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বনিম্ন 221 রান করেছিলেন। মাহমুদউল্লাহ (56) ওয়ানডেতে তার 28তম হাফ সেঞ্চুরি করেন এবং লিটন দাসের (45) সাথে 79 রানের জুটি গড়েন এবং অধিনায়ক সাকিব আল হাসান 43 রান করেন।
এই ম্যাচের আগে পাওয়ারপ্লেতে মাত্র দুই উইকেট নেওয়া শাহীন প্রথম ওভারেই তানজিদ হাসানকে (০) আউট করেন। পরের ওভারে তিনি নাজমুল হুসেনকে (৪) মিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের স্কোর দুই উইকেটে ২৬ রানে নামিয়ে দেন। মুশফিককে (৫) আউট করে বাংলাদেশকে সমস্যায় ফেলেন রউফ, কিন্তু শাহীন বোলিং থেকে সরে যাওয়ার পর লিটন ও পাঁচ নম্বরে উন্নীত মাহমুদউল্লাহ বাংলাদেশের দায়িত্ব নেন। দু’জনেই যখন দলকে সম্মানজনক স্কোরে নিয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছিল, তখন ইফতেখারের বলে খুব সহজে ক্যাচ দেন লিটন (৪৫)। দ্বিতীয় স্পেলে আসতেই বিপজ্জনক মাহমুদউল্লাহকে বোল্ড আউট করেন শাহীন।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊