Kamduni Case: সুপ্রিম ধাক্কা! খালাসে সায় দিলেও একগুচ্ছ শর্ত আরোপ অভিযুক্তদের
![]() |
Supreme Court |
কেটে গেছে ১০ বছর। ২০১৩ সালের ৭ জুন উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনিতে এক কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। এবার কামদুনিকাণ্ডের রায় ঘোষণা হাইকোর্টের (HC on Kamduni Case)। নিম্ন আদালতে যার ফাঁসি সাজা হয়েছিল, তাকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছিল হাইকোর্ট! ফাঁসির বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয় বাকি দু'জনকে। রেহাই পেয়ে গেলেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যায় নির্যাতিতার পরিবার। সেই মামলায় জেল থেকে মুক্তিপ্রাপ্তদের ওপর নতুন শর্ত আরোপ করল সুপ্রিম কোর্ট। তবে তাদের ফের গ্রেফতারির আবেদনে সাড়া দেয়নি সর্বোচ্চ আদালত।
হাইকোর্টের রায়দানের পর অভিযুক্তরা জেলের বাইরে থাকলেও প্রমান নষ্টের দাবি ভিত্তিহীন বলে মনে করেছে আদালত। বিচার প্রক্রিয়া শেষ, তথ্যপ্রমাণ নষ্টের সুযোগ নেই। সেইকারণেই ছাড় বলে জানাল সর্বোচ্চ কোর্ট। খালাসে সায় দিয়েও অভিযুক্তদের গতিবিধিতে কড়া সুপ্রিম কোর্ট । নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নয়। রাজারহাটের ওসির অনুমতি ছাড়া এলাকার বাইরে নয়। পুলিশকে তাদের বর্তমান ঠিকানা জানাতে হবে। কখনও ঠিকানা পরিবর্তন করলে তা আগাম জানাতে হবে থানাকে। ৪ জনের প্রত্যেককে তাদের ফোন নম্বর পুলিশকে জানাতে হবে।
হাইকোর্টের তরফে নির্দেশে জানানো হয়েছে যে, দোষী সাব্যস্ত আনসার আলি মোল্লার ফাঁসির পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ড। দোষী সাব্যস্ত সইফুল আলি মোল্লারও ফাঁসির পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফাঁসির সাজা হয়েছিল আমিন আলীরও, তবে আজ হাইকোর্টের নির্দেশের পর বেকসুর ছাড়া পেয়েছে সেও। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পরিবর্তে ছাড়া পেয়েছে ইমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর এবং আমিনুর ইসলাম।
কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ে চরম হতাশ নির্যাতিতার বাবা-দাদা ও দুই বান্ধবী টুম্পা কয়াল ও মৌসুমী কয়াল। এদিন তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, হাইকোর্টের এই রায় তাঁরা মেনে নিতে নারাজ। তাই সুপ্রিম কোর্টে যায় তাঁরা। তাঁদের কথায়, ১০ বছর ধরে আন্দোলন চলছে। আমরা ৬ জন দোষী, ৬ জনেরই ফাঁসি চাই। হাইকোর্টের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊