মেজিয়ায় বন দফতরের অভিযানে আটক অবৈধ কাঠ
রঞ্জিত ঘোষ,বাঁকুড়া,২সেপ্টেম্বর:
বাঁকুড়ার মেজিয়ার দামোদর চর সংলগ্ন চরমানা থেকে উদ্ধার হল বেশ কিছু চরাই কাঠ।মেজিয়া ব্লকের দামোদর চরমানা, দুর্গম সেই দামোদরের মানা চরে জনবসতির সংখ্যা মাত্র ২৫ টি পরিবারের। ভৌগোলিক অবস্থানের কারনে এই মানাচর এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। ভৌগোলিক অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে এবার সেই মানা চরে অবাধে চলছে গরুর গাড়িতে করে অবৈধ কাঠ পাচার। বর্তমানে এই মানাচরের একাধিক পুরানো সকল গাছ কাঠ চোরাচালানকারীদের কবলে। সরকারি জমিতে থাকাই হোক বা বেসরকারি জমিতে থাকা একাধিক গাছ অবৈধ উপায়ে চলছে ছেদন। যদিও শেষ রক্ষা হলো না পাচারকারীদের। বনদপ্তরের অভিযানে বাজেয়াপ্ত করা হলো শিমুল গাছের একাধিক কান্ড। যদিও কোন কাঠ পাচারকারীদের হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়নি মেজিয়া বনদপ্তর। তবে গরুর গাড়ির চালকদের দাবি পকেন ভান্ডারী নামে এক কাঠ ব্যবসায়ী নির্দেশেই তারা এই কাঠ নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন। তবে তা বৈধ না অবৈধ তা তারা কিছুই জানেন না।
কিন্তু কে এই পকেন ভান্ডারী? ইনি সেই পকেন ভান্ডারী যার বিরুদ্ধে মানা এলাকার একাধিক পুরনো গাছ চুরির অভিযোগ উঠেছে বারংবার। যদিও বনদপ্তরের তরফে আজও সেই অভিযোগে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তার বিরুদ্ধে। তাই আজও তিনি স্বমহিমায় অনায়াসে এই অবৈধ কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন। শিল্পাঞ্চল মেজিয়া,শিল্পাঞ্চলের কারণে ব্লক জুড়ে দূষণের মাত্রাও অত্যাধিক। আর সেই দূষণ নিয়ন্ত্রণে একমাত্র যথার্থ ভূমিকা গ্রহণ করে গাছ। কিন্তু শিল্পাঞ্চলের বুকেই যদি প্রতিদিন অবৈধভাবে এইভাবে নিধন হতে থাকে গাছ তাহলে তার খেসারত কিন্তু দিতে হবে আগামী প্রজন্ম নয় এই প্রজন্মকেই। বর্তমান প্রজন্ম রক্ষার্থে আগামী দিনে বনদপ্তর কি ব্যবস্থা নেয় সেটা এখন দেখার।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊