কিস্তির টাকা আনতে গিয়ে আটক বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা
দুই সপ্তাহ ধরে দিতে পারছিলেন না ঋণদান সংস্থার কিস্তির টাকা।রাতের বেলা বাড়িতে গিয়ে জোরপূর্বক কিস্তির টাকা দাবি করার অভিযোগ বেসরকারি ঋণদান সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে।ঋণদান সংস্থার চার কর্মীকে আটকে রাখলো ঋণ গ্রহীতা এবং তার পাড়া প্রতিবেশীরা। উদ্ধার করল থানার পুলিশ। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি পুরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের উত্তর বোরাগাড়ি এলাকায়।
জানা গিয়েছে, শেফালি রায় নামে ওই এলাকায় এক বাসিন্দা বেসরকারি ঋণদান সংস্থার থেকে ৮০ হাজার টাকা লোন নেন।ঋণ বাবদ প্রতি সপ্তাহে তিনি ১৩৫০ টাকা করে ওই সংস্থার কর্মীদের দিতেন।দুই সপ্তাহ ধরে পারিবারিক আর্থিক সমস্যার কারণে কিস্তির টাকা দিতে পারছিলেন না তিনি।দুই সপ্তাহ ধরে কিস্তির টাকা দিতে না পারার জন্য এদিন রাত আটটা নাগাদ ওই বেসরকারি ঋণদান সংস্থার চারজন কর্মী শেফালি রায়ের বাড়িতে আসেন।তারা দুই সপ্তাহের কিস্তির টাকা দিতে বলেন।সেই সময় শেফালি রায় বাড়িতে একাই ছিলেন।পরবর্তী তার স্বামী বাড়িতে ফেরেন।
তার স্বামী বিশ্বজিত রায় বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে কিস্তির টাকা দিতে পারছিলাম না জন্য রাতের বেলা বাড়িতে এসে টাকার জন্য হুমকি দেন ঋণদান সংস্থার কর্মীরা।টাকা না দিলে বাড়ি থেকে যাবেন না বলে জানান তারা।আমরা তাদের বলি পারিবারিক আর্থিক সমস্যার জন্য দুই সপ্তাহ কিস্তির টাকা দিতে পারবো না।এই টাকা শেষে গিয়ে পরিশোধ করে দিব।কিন্তু তারা আমাদের কথা শুনছিলেন না।অনবরত টাকার দাবিতে তারা হুমকি দিতে থাকে।আশেপাশের প্রতিবেশীরা একত্রিত হয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানান।তাদের ম্যানেজারকে ঘটনাস্থলে আসার কথা বলা হয়।কিন্ত তিনি আসেনি।
এদিকে ঋণদান সংস্থার কর্মীদের আটকে রাখার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ।পুলিশের তরফে দুই পক্ষের কথা শোনা হয়।পরবর্তী পরের সপ্তাহ থেকে কিস্তির টাকা দেওয়া হবে বলে জানানো হলে ঋণদান সংস্থার কর্মীদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঋণদান সংস্থার এক কর্মী নুর আমিন বলেন, দুই সপ্তাহের কিস্তির টাকা চাইতে আসলে আমাদের আটকে রাখা হয়।কোন রকম হুমকি বা চাপ দেওয়া হয়নি।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊