হিমাচল থেকে 50,000 এরও বেশি পর্যটককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে: মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সুখু

Himachal Pradesh


ফারিন ইয়াসমিন, কলকাতা: 

এই মুহূর্তে হিমাচল প্রদেশ প্রকৃতির ক্রোধের সাথে রীতিমত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এবং মনে করা হচ্ছে প্রকৃতির এই হিংস্র রূপ মানবের‌ই ক্ষমার অযোগ্য ফল।বন্যা কবলিত ও ধসের যুগলবন্দীতে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ।



হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু বলেছেন যে রাজ্য জুড়ে ৫০,০০০ এরও বেশি পর্যটককে উদ্ধার কার্যের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন রাজ্য বিভাগের কর্মকর্তাদেরও সাধুবাদ জানিয়েছেন, যারা এই উদ্ধারকার্যে জড়িত।




"আমরা আজ রাত ৮টা পর্যন্ত গত ৪৮ ঘণ্টায় হিমাচল প্রদেশ থেকে ৫০,০০০ পর্যটককে সফলভাবে সরিয়ে নিয়েছি। আমি আমাদের প্রশাসন এবং বিভিন্ন বিভাগের কর্মীদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা আমাদের রাস্তা, বিদ্যুৎ, জল সরবরাহ এবং নেটওয়ার্ক সংযোগ পুনরুদ্ধার করার জন্য অক্লান্তভাবে এবং চব্বিশ ঘন্টা কাজ করছে।"যা টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী সুখু।




এদিকে, আইপিএস সত্ওয়ান্ত অটওয়াল বুধবার তার টুইটার হ্যান্ডেলে বলেছিলেন যে…" ৬ জন ইসরায়েল পর্যটককে নিরাপদে মানিকরণ শহরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আরও ৩৭ জন নিরাপদে বারশাইনিতে ভালো আছেন।




এই আইপিএস অফিসার টুইটারে আরও জানিয়েছেন যে .."রাজ্যের সাংলা, ছিটকুল এবং রাকসাম এলাকায় একজন বিদেশী নাগরিক সহ প্রায় ৯৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং নিরাপদ স্থানে আনা হয়েছে।"




বুধবার হিমাচল প্রদেশ সরকার বলেছে যে "রাজ্য স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে এবং ভারী বৃষ্টিপাতের মধ্যেও সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়াটি চলছে।"



এর আগে, হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে "প্রায় ৫০ শতাংশ আটকে পড়া পর্যটকদের বন্যা কবলিত অঞ্চল থেকে ইতিমধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরো যোগ করে বলেন, সরকারের অগ্রাধিকার ছিল সমস্ত আটকে পড়া পর্যটকদের সরিয়ে নেওয়া।




মুখ্যমন্ত্রী সুখু বলেছেন,"আমাদের অগ্রাধিকার হল সমস্ত পর্যটকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া এবং তারপরে বিদ্যুৎ, জল সরবরাহ পুনরুদ্ধারের দিকে মনোনিবেশ করা। উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রীরাও পরিস্থিতি মোকাবিলার কথা বলছেন।



"আমরা ইতিমধ্যে প্রায় ৫০শতাংশ আটকে পড়া পর্যটকদের সরিয়ে নিয়েছি। প্রায় চার হাজার কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।"




এর আগেরদিন,মুখ্যমন্ত্রী বন্যা-দুর্গত অঞ্চলের বায়বীয় জরিপ করে বলেছিলেন ,যে তাঁর সরকার দ্রুত সময়ে সড়ক পরিবহন এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধার করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে।



এদিকে, অবিরাম বৃষ্টিপাত এবং বিভিন্ন রাস্তার ক্ষতির কারণে হিমাচল প্রদেশের পাবলিক সার্ভিস কম্পিটিটিভ পরীক্ষা ২০ আগস্টে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে যে পরীক্ষাটি আগে ২৩ জুলাই হ‌ওয়ার ছিল।




দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের(Disaster Management Authority ) দ্বারা সংগ্রহ করা তথ্য অনুসারে, এখন‌ও পর্যন্ত মোট ১০০০টিরও বেশি রাস্তা বন্ধ রয়েছে, প্রায় ২০০০টি বিদ্যুৎ প্রকল্প প্রভাবিত হয়েছে এবং ভারী বৃষ্টির কারণে রাজ্যে ১২০০টি জল সরবরাহ প্রকল্প ব্যাহত হয়েছে। আরও, অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধস হ‌ওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না , মনে করা হচ্ছে তাতে ' মানালি' শহরের জীবন ও সম্পত্তির ভয়ঙ্কর ক্ষতি করবে।