অবশেষে বাড়ি ফিরলেন ভোটকর্মী ! 


sanjay sardar




রাজকুমার রায়ের স্মৃতি কি ফিরে আসবে? দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন ভোটকর্মী শিক্ষক সঞ্জয় সর্দারের পরিবার। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিলেন শিক্ষকের স্ত্রী সহ পরিবারের সকলে।


ভোটপর্ব মেটার পর ব্যালট বাক্স সহ যাবতীয় কাগজপত্র RC তে জমা করে বাড়ি ফেরার পথে ফোন করেছিলেন সঞ্জয় সর্দার। এই ছিল শেষ ফোন। তার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের ভোটকর্মী সঞ্জয় সর্দার। 

রবিবার সকাল থেকে খোঁজাখুঁজির পরেও হদিস না মেলায় অবশেষে কাশীপুর এবং জীবনতলা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন ভোটকর্মী  সঞ্জয় সর্দারের পরিবার। 

সঞ্জয়ের পরিবার সূত্রে খবর, সঞ্জয় পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী এবং দু’মাসের সন্তান রয়েছে। 

শিক্ষক সঞ্জয় সর্দারের ভোটের ডিউটি পড়েছিল পোলেঘাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০৭ নম্বর বুথে। শনিবার রাত ২টো নাগাদ বাড়ির লোকেদের সঙ্গে শেষবার তাঁর কথা হয়েছিল। তার পর থেকে তাঁর আর হদিস মিলছিলো না। 

পরিবার জানিয়েছে, জীবনতলা থানা এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় প্রথমে তাঁরা সেই থানাতেই নিখোঁজ ডায়েরি করেন। কিন্তু সঞ্জয়ের ভোটের ডিউটি যেহেতু কাশীপুর থানা এলাকায় পড়েছিল, সেই কারণে পরে সেখানেই যান পরিবারের সদস্যেরা।

কাশীপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করার পর সঞ্জয়ের ভাইপো দীপঙ্কর সর্দার বলেছেন, ‘‘গতকাল রাত ২টোর সময় শেষবার কথা হয়েছিল। ফোনে চার্জ ছিল না বলে অন্য এক জনের মোবাইল দিয়ে ফোন করেছিলেন কাকা। ফোনে জানিয়েছিলেন, কাঁঠালিয়া হাই স্কুলে ব্যালট বাক্স জমা দিয়ে সবে ফিরেছেন। ফিরেই বাড়িতে ফোন করেছেন। এ-ও জানিয়েছিলেন, ফোন রেখেই উনি বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেবেন। পরে শুনেছি, বাড়ি ফেরার জন্য সেখানে বেরিয়েও পড়েছিলেন। কিন্তু তার পর থেকে কাকার আর কোনও খোঁজ নেই।’’ 


প্রসঙ্গত, গত ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটেও ইটাহারে সোনারপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথ থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন প্রিসাইডিং অফিসার রাজকুমার রায়। তার পরের দিন রাজকুমারের ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার হয়। 


আজ  কিছু সময় আগে শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী জানিয়েছেন- "অবশেষে ভোটকর্মী সঞ্জয় সর্দার বাড়ি ফিরেছেন কিছুক্ষন আগে। অসুস্থ ছিলেন, ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। বাকিটা পরে জানাযাবে।"